স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার বদলে লটারি করায় অনেক অভিভাবক অনৈতিকভাবে আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে সুবিধাও পেয়েছেন। অবাক হলেও সত্য যে, তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই যেমন ৪র্থ শ্রেণির, তেমনই অনেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন ও লটারির মাধ্যমে ভর্তির তালিকা চূড়ান্ত করার কারণে ভর্তির উপযুক্তদের মধ্যে অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। অনৈতিক আবেদক শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অনৈতিক কর্মকা-ও কাজে লেগে গেছে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। ভর্তি হওয়া অনেকের পূর্ববর্তী বিদ্যালয়ের ছাড়পত্র পরীক্ষা করলেও বহু অনিয়ম ধারা পড়তে পারে বলে অনেকেরই অভিমত।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল দুপুরে এক অভিভাবকের উক্তির মধ্য দিয়েও কিছু অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, আমার মেয়ে লাটারিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তাকে ভর্তির শেষ দিন ২৩ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি করাতে গেলে বিলম্বে আসার কারণে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন লাগবে বলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় আমার মেয়েকে ওই বিদ্যালয়ে মেয়ের নামেই ভর্তি করা হয়েছে। আমার মেয়ে আমি ভর্তি ফি দিয়ে ভর্তি করাতে পারলাম না। অথচ আমার মেয়েকে কে ভর্তি করালেন? বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তের মধ্যে পড়েন। খোঁজ নিতে গিয়ে ভর্তি করা অভিভাবকের হদিস না মেলার কারণে বলা হয়, ওই মেয়েই ভর্তি হয়েছে বলে আমরা ধরে নিয়েছি। অন্য কেউ এই ভর্তির দাবি করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি শিক্ষানুরাগী মহলে জানাজানি হলে তাদের অনেকেই বলেছেন, এবার অনলাইনে আবেদন ও লটারিতে ভর্তির সুযোগ দেয়ায় অনেক অভিভাবকের অনৈতিক পদক্ষেপও কাজে লেগে গেছে। ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বচ্ছতার সাথে যাচাই বাছাই করলে অনেক কিছুই চোখের সামনে আসতে পারে।