মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর এলাকায় নীরব চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কেউ কেউ গোপনে চাঁদা দিচ্ছে। আবার চাঁদা না দিলে কৃষকের ক্ষেতের ফসল কেটে তছরূপ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মুজিবনগর থানায় জিডি হয়েছে। থানা পুলিশ বলেছে মোবাইল ট্রাকিং করে চাঁদাবাজকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর গ্রামের কাদের গাজীর ছেলে বাবলু গাজীর গাঁয়ের কোল মাঠের এক বিঘা জমির ধান, জয়নুদ্দিনের ছেলে মতিয়ার রহমানের ছেলে এক বিঘা জমির পেঁয়াজ ও রবির ১০ কাঠা জমির পেঁয়াজ এবং ইলাম শেখের ছেলে জয়নুদ্দিনের ২ বারে ১০ কাঠা জমির পেঁয়াজ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মতিয়ার রহমান এ ব্যাপারে মুজিবনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর একে একে মুখ খুলতে থাকেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। তাদের দাবি অজ্ঞাত স্থান থেকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দিতে পারলে রাতের আঁধারে এভাবে কৃষকের ধান, গম, ভূট্টা ও পেঁয়াজ কেটে দিয়ে যাচ্ছে। মতিয়ার রহমানের দাবি তার নিকট থেকে ৬০ হাজার, ফয়জুদ্দিনের নিকট থেকে একলাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। এভাবে কৃষকদের নিকট থেকে ৫০ হাজার থেকে একলাখ টাকা দাবি দিয়ে রশিকপুর এলাকার ১৯ জন কৃষকের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেকে চাঁদা দিয়ে রেহাই পেয়েছে। আবার অনেকে চাঁদা না দেয়ায় তাদের ফসল কেটে তছরূপ করেছে ও তছরূপের হুমকি দিচ্ছে।
জানতে চাইলে মুজিবনগর থানার ওসি আব্দুল হাশেম জানান, পেঁয়াজ কাটার কথা শুনেছি এবং মতিয়ার রহমান নামের একজন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তার সূত্রধরে পুলিশ সুপার মেহেরপুরের মাধ্যমে মোবাইল ট্রকিং করে চাঁদাবাজকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, কতজন চাঁদাবাজির শিকার হয়েছে তা তার জানা নেই। কারণ থানায় আর কারো অভিযোগ আসেনি। থানায় অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।