ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সমিতির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন সভাপতি অ্যাডভোকেট খান আখতারুজ্জামান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাকারিয়া মিলন, সিনিয়র আইনজীবী আজিজুর রহমান, ইসমাইল হোসেনসহ (পিপি) অনেকে।
এ সময় ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি, অদক্ষতা এবং আইনজীবীদের সাথে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ করেন বক্তারা। অনতিবিলম্বে তাকে অপসারণের দাবি জানান তারা। ওই বিচারককে অপসারণ না করা হলে আগামী সোমবার থেকে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে দেয়া এক লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নানা ইস্যুতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজহারুল ইসলামের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সমিতির পক্ষ থেকে একাধিক সভা ডেকে এ নিয়ে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। চলতি মাসের ১০ তারিখে নির্বাহী পরিষদের জরুরি অন্য এক সভায় অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ আইনজীবীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ আনা হয়। সেই সাথে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ওই বিচারকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা।
জানা যায়, বুধবার জব্দ করা মালামাল নিলামে বিক্রিতে অনিয়মসহ গুরুতর কিছু অভিযোগ নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে আদালত এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সমাবেশের ডাক দেয়া হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। যে কারণে মানববন্ধন, বিক্ষোভ কর্মসূচি আগামী সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। শুধু চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেটের আদালত বর্জন চলতে থাকবে। আইনজীবীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে সিনিয়র একাধিক আইনজীবী দ্বিমত পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন, আন্দোলনের চেয়ে আলোচনা উত্তম। বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আদালতের পক্ষ থেকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রদান করা হয়নি।