স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৩টি পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে একজন স্বশিক্ষিত, একজন পঞ্চম শ্রেণি, ছয়জন অষ্টম শ্রেণি, দুইজন দশম শ্রেণি এবং তিনজন এসএসসি পাস বলে হলফনামায় দাবি করেছেন। তবে, তাদের কারোর নামেই কোনো ফৌজদারী মামলা নেই।
সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে চাঁদনী খাতুন, নাসরিন পারভিন, শাহিনা আক্তার রুবি ও সুফিয়া খাতুন, ২নং ওয়ার্ডে বিলকিস নাহার, হাসিমা খাতুন ও সুলতানা আঞ্জু রতœা এবং ৩ নং ওয়ার্ডে আন্না খাতুন, জাহানারা খাতুন, জাহানারা বেগম, মোমেনা খাতুন, শাহান খাতুন ও শেফালী খাতুন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
হলফনামায় প্রার্থীরা যেসকল তথ্য প্রদান করেছেন তার মধ্যে রয়েছে, সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে ফিরোজ রোডের চাঁদনী খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস, নগদ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ১ হাজার টাকা, ২ কাঠা জমির ওপর বাড়ি ও ৩ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়ার নাসরিন পারভিন দশম শ্রেণি পাস, নগদ ৬ লাখ টাকা, দোতলা বাড়ি, ৩ ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। ফিরোজ রোডের শাহিনা আক্তার রুবি দশম শ্রেণি পাস, নগদ ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ১০ হাজার টাকা, ৩ কাঠার ওপর বাড়ি, কৃষি জমি ৮ কাঠা, অকৃষি জমি ৮ কাঠা, দেড় ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ৮ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকা, কৃষি থেকে আয় ৫ হাজার টাকা এবং সম্মানীর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা রয়েছে। মুক্তিপাড়ার সুফিয়া খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস, নগদ ৮০ হাজার টাকা, ১ তলা বাড়ি, অকৃষি জমি দেড় কাঠা, ১ ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৬০ হাজার টাকার।
সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে বাগানপাড়ার বিলকিস নাহার এসএসসি পাস, নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩৫ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৩৫ হাজার টাকার। মল্লিকপাড়ার হাসিমা খাতুন ৮ম শ্রেণি পাশ, নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ২ হাজার টাকা, ১ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৩০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য থেকে আয় ১ লাখ টাকা। বাজারপাড়ার সুলতানা আঞ্জু রতœা এসএসসি পাস, নগদ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ৪০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ৪ ভরি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩৫ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ২৫ হাজার টাকার।
সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে সাতগাড়ীর আন্না খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস, নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ২০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪৫ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৩৫ হাজার টাকার। গোরস্থানপাড়ার জাহানার বেগম পঞ্চম শ্রেণি পাস, নগদ ১০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ৫০ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩৫ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ২০ টাকার। নূরনগরের জাহানারা খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস, নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ৩০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। দিগড়ি উত্তরপাড়ার মোমেনা খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস, নগদ ৩০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ২ ভরি, ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ২০ হাজার টাকার। ফার্মপাড়ার শেফালী খাতুন স্বশিক্ষিত, নগদ ৩০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ১ ভরি, ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, টিভি-ফ্রিজ, কৃষি জমি ৪ কাঠা ও অকৃষি জমি ৩ কাঠা রয়েছে। গোরস্থানপাড়ার শাহানা খাতুন এসএসসি পাস, নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে আছে ৪০ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্ণ, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৫০ হাজার টাকার।
চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ বলেন, হলফনামায় কেউ যদি অসত্য তথ্য প্রদান করেন এবং কেউ যদি নির্বাচিত হন তারপরও নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ