মহিলা কাউন্সিলরসহ মেহেরপুরে ১৮ শিবিরকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

১১ জনকে কারাগারে ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৭ জনকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরের সেখপাড়া থেকে আটক মেহেরপুর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শিউলি আক্তারসহ আটক ১৮ জন শিবির নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ আদালত আটক ১৮ শিবির নেতাকর্মীর মধ্যে ১১ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শাহীন রেজা ওই নির্দেশ দেন। এছাড়া এদিন রাতে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এসএম আব্দুস সালামের নির্দেশে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৭ শিবির কর্মীকে যশোরের পোলেরহাট কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শিউলি আক্তার, মেহেরপুর শহরের হঠাৎপাড়ার আব্দুল ওহাবের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), সানোয়ার হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২২) ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৯), সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাজু আহমেদ (২২), আক্কাস আলীর ছেলে আবুল হাসান (২২) ও রফিজ উদ্দিনের ছেলে মাহবুব (১৯), কামদেবপুর  গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আবুল বাশার (২০),  কোলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহ (১৯), চকশ্যামনগর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৯) এবং আলমপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে ইকবাল হোসেনকে (১৯) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৭ শিবির কর্মী হলেন মেহেরপুর বড় বাজার এলাকার সৈয়দ মাহবুব হাসানের ছেলে যুবায়ের হাসান (১৫), তাঁতিপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬), বন্দর গ্রামের আবু তোয়াবের ছেলে আল সাইফ (১৭), চকশ্যামনগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আল-হেলাল রোমান (১৫) ও বজলুর রশীদের ছেলে আবু জাফর (১৭), নতুনপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৬) ও সেলিম রেজা ছেলে মাসুদ (১৫)।

উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে মেহেরপুর ডিবি পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শহরের শেখপাড়া থেকে কাউন্সিলর শিউলি আক্তারসহ মোট ১৮ শিবিরকর্মীকে আটক করে। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২২। নাশকতা কর্মকান্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্র শিবিরের প্রশিক্ষিত কিশোর সদস্যদের ব্যবহারের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে উক্ত স্থানে সমবেত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট এর ১৫(৩)/২৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More