আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বাজারে টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট মরক্কো) সার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা সার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। কার্তিকের ভরা মরসুমে সার সঙ্কট দেখা দেয়ায় আলু, বেগুন, কপি, পিয়াজ, রসুন, সরিষা, ভুট্টা, মসুরী, ছোলা, পেয়ারা, কলা, মাল্টা, কমলা, অন্যান্য সবর্জিসহ অর্থকরী ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহৃত হয়ে পড়েছে। সার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলারের চাহিদাপত্র অনুযায়ী সার সরবরাহ না করায় এ সার সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত কোমর আলীর ছেলে কৃষক তৈয়ব আলী অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি কয়েক বিঘা জমিতে পেয়ারা, ধনেপাতা ও ভুট্টা চাষ করেছেন। অন্যান্য সারের তুলনায় টিএসপি সারে ফসল উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশী। গত কয়েক দিন বাজারের বিভিন্ন খুচরা সার ব্যবসায়ীদের নিকট টিএসপি সার কিনতে গেলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সার নেই। অনন্তপুর গ্রামের কৃষক আলতাব হোসেন ফেলা একই অভিযোগ তুলে বলেন, বাজার ঘুরে টিএসপি সার পাওয়া যায়নি। বেগুনসহ অন্যান্য ফসলে ডিওপি সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। আন্দুলবাড়িয়া বাজারের খুচরা সার ব্যবসায়ী বজলুর রহমান জানান, ডিলারের চাহিদাপত্র অনুযায়ী সার সরবরাহ না করায় বাজারে এ সার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সুত্র জানান, একটি চক্র টিএসপি সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে মূল্য বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা ডিলারের নিকট বেশী দামে সার ক্রয় করে যানবহন, লেবার ও অন্যান্য খরচসহ মূল্য বাড়িয়ে সাধারণ কৃষকদের নিকট বিক্রি করতে গেলে প্রশাসনে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে কয়েকজন খুচরা সার ব্যবসায়ীদের নিকট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। ডিলার প্রতিনিধিদের নিকট বেশী দামে টিএসপি সার সরবরাহ করায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সে কারণে খুচরা সার ব্যবসায়ীরা টিএসপি সার ক্রয় ও বিক্রয় থেকে বিরত রয়েছে। আন্দুলবাড়িয়া ইউপি ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বাজারে টিএসপি সার সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।