চুয়াডাঙ্গায় জাকজমকের সাথে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব পালিত
হাজারো প্রদীপ জ্বেলে করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জাকজমকের সাথে পালিত হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব। এ উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে পূজা। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে মঙ্গল প্রদীপের আলোয় আলোকিত করার জন্য দিনটিকে দীপাবলী, দিওয়ালী কিংবা দ্বিপান্বিতা হিসেবে পালন করছেন ভক্তরা। হিন্দু শাস্ত্রে মা কালীকে বিপদনাশিনী হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন অমঙ্গলের হাত থেকে মা কালী তাদের রক্ষা করে থাকেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন পূজা মন্দিরে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে মনোরম আলোকসজ্জা করা হয়। তবে করনা মহামারীর কারণে কোনো কোনো মন্দিরে ভক্তদের উপস্থিতি ছিলো কম। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে আতশবাজী উৎসব।
মন্দিরে উপস্থিত ভক্তরা জানান, অন্ধকার জগত থেকে আলোকময় জগতের প্রত্যাশার পাশাপাশি করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্যও প্রার্থনা করেছেন তারা। এদিকে অন্ধকার ও অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো হয়।
তারা জানান, ত্রেতাযুগে সীতাসহ অবতার শ্রীশ্রী রামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের বনবাস থেকে অযোধ্যা রাজ্যে ফিরলে প্রজারা আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্য দিয়ে প্রভু রামচন্দ্রসহ সীতাকে বরণ করে নেন। সেই থেকে দীপাবলি হিসেবে দিনটিকে পালন করে আসছেন ভক্তরা। আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার দশমহাবিদ্যার এক রূপ কালী। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে বার্ষিক শ্রীশ্রী কালীপূজা বা শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দীপাবলিকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ম-পে কালীপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এতে মহামারী করোনা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।