কোনো রকম অনুরাগের বশীভূত হয়ে কিছু করা যাবে না
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘আইনের চোখে সবাই সমান। কোনো স্বজনপ্রীতি থাকবে না। কোনো রকম অনুরাগের বশীভূত হয়ে কিছু করা যাবে না। কোনো মানুষের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না। জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্য দূর করার জন্য কাজ করেছেন। দেশের মানুষ সবসময় এজন্য তাঁকে মনে রাখবে। আপনারাও জাতিরপিতার পথ অনুসরণ করে সমধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন। আমাদের প্রতি যার যা দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করি।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেছেন।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ হলেন- নাটুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম (আ.লীগ), নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়ামিন আলী (স্বতন্ত্র), গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহা. শফিকুর রহমান রাজু (আ.লীগ) এবং ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম (আ.লীগ)।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব-স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক) মো. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরা পারভীন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, চেয়ারম্যানদের তৃণমূল পর্যায়ে এলাকার মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের অংশ করতে হবে। কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে ১১৭১ জনের ঘর নির্মাণের তালিকা সরকারের কাছে দিয়েছি। গৃহহীনদের ঘর দেয়া হবে। ১৩৬ জনের ঘর দিয়েছি। এ কাজের সাথে আপনারাও সম্পৃক্ত হবেন। গুণগত মান ঠিক রেখে সম্পন্ন করতে হবে। যাদের ১০ শতক জমি আছে এমন ৯৬৫৪ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। তাদেরও ঘর বানিয়ে দেবো। মাথা গুজার ঠাঁই করে দিতে পারলে করে খেতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আপনারা কাজ করবেন। সবচেয়ে বড় কথা ডিজিটাল বাংলাদেশ। আইসিটি উপদেষ্টা সচিব ওয়াজেদ জয় ২০ লাখ দক্ষ লোক তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে। ২০৪১ সালে বিশ্বে মাথা উঁচু করে থাকতে পারবো। এলাকার প্রত্যেকটি জনগণকে সাথে প্রকল্প গ্রহণ করবেন। যে এলকায় প্রকল্প গ্রহণ করবেন যারা বেশিরভাগ মানুষ মত দেবেন সেটি করবেন। তাহলে পাঁচ বছর পর মানুষের কাছে যেতে হবে না। মানুষই আপনাদেরকে ভোটে দাঁড়ানোর কথা বলবেন। জনগণের আস্থার জায়গা ধরে রাখবেন।