অভিযুক্ত আবু সাঈদ গ্রেফতার : আজ ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি রেকর্ড
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরি গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ওই ছাত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক আবু সাঈদকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ধর্ষক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা এবং জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি গ্রামের উত্তরপাড়ার হাশেম আলীর কলেজ পড়–য়া ছেলে আবু সাঈদ (২১) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হতদরিদ্র প্রতিবেশীর পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে। এতে করে ওই ছাত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কৌশলে ধর্ষক অন্তঃসত্ত্বার বাচ্চা নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালায়। সেই সাথে গোপনে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দেবারও অপচেষ্টা চালায়। ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কোনো ডাক্তার ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ধর্ষিতার মা দর্শনা থানায় ধর্ষক আবু সাঈদের নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজলের নির্দেশে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ ছদ্মবেশে গ্রামের মাঠ থেকে ধর্ষককে গ্রেফতার করে দর্শনা থানায় সোপর্দ করেন। মাহাব্বুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত তার অপরাধের কথা শিকার করেছে। আজ (শুক্রবার) আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা ও জবানবন্দি রেকর্ড এবং অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এদিকে ধর্ষক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অপরদিকে গ্রামবাসী অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে।