চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু : নতুন ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ
শীতে মহামারী কোভিড-১৯ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে : সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিয়ে জেলায় কোভিড-১৯এ মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। তবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে গতপরশু মারা যাওয়া কাউছার আলী করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত হয়েছে আরও দুজন নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী।
গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ’্য বিভাগ নতুন ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এসেছে। ১৭ জনের নেগেটিভ হলেও পজেটিভ হয়েছে দুজনের। নতুন আক্রান্ত দুজনের মধ্যে একজন হাজারাহাটির বাসিন্দা। অপরজনের বাড়ি সাতগাড়ি। এদিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫শ ৩০ জন। গতকাল আরও ৪ জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন। এদিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৪শ ২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা পূর্বপাড়ার আক্কেল আলী নামের একজন মারা গেছেন। গতকাল রোববার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে প্রচ- শ^াস কষ্ট নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন তিনি। গত ১ নভেম্বর তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর থেকে হাসপাতালের বদলে নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন। আক্কল আলী (৪৯) বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থতা না পেয়ে গতকাল রোববার বিকেলে মৃত্যুরকোলে ঢুলে পড়েন। পরে তার মৃতদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানিয়েছেন আমাদের কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি ও ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি। তার পরিবারের আর কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগসূত্র।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ডিহি কেষ্টপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে কাউছার নিজেদের জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারামারিতে গুরুতর জখম হন। তাকে গত ১ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে তীব্র জ্বর ও শ^াস কষ্ট দেখা দিলে নেয়া হয় হলুদ জোনে। শনিবার সকালে নমুনা সংগ্রহের পর পরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে।
প্রসঙ্গত: করোনা আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে তথা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ১৫জন। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা ৪১জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। দীর্ঘদিন ধরেই ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা শীতের মধ্যে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে আসছেন। ফলে সকলকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পুনঃপুন অনুরোধ জানানো হয়েছে জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির তরফে।