গাংনী প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর ফলমূল এবং শাক-সবজি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বসতবাড়ির পতিত অল্প জায়গাতেই একটি পরিবারের এই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তাই বিষমুক্ত নিরাপদ শাক সবজি ও ফলমূল উৎপাদনের তাগাদা দিলেন গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ। অপরদিকে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণে কৃষাণীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তার কথা বললেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ। গতকাল বুধবার দুপুরে গাংনীর তেরাইল কুঠিপাড়ায় বসতবাড়িতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর সবজি চাষ পরিদর্শন ও মহিলা কৃষি পাঠাগারের সদস্যদের সাথে আলোচনাসভায় উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা এবং ইউএনও।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইউএনও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা- প্রতি ইঞ্চি জমির সদ্ব্যবহার করতে হবে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে কৃষি অফিস তেরাইল গ্রামের কুঠিপাড়ায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখানে যেভাবে বসতবাড়িতে পুষ্টিকর ও নিরাপদ সবজি উৎপাদন হচ্ছে তা সবার জন্য অনুকরণীয়। বসতবাড়ির এই স্বল্প জায়গায় আরও বেশি শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপাদনের বিষয়ে সরকারি সহায়তার করার আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, এলাকার অনেক বসতবাড়িতে এখন ফলমূল ও শাক-সবজি উৎপাদন হচ্ছে। নিরাপদ এই উৎপাদন পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করছেন তারা। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এ শুভ উদ্যোগ আরও প্রসারের চেষ্টা চলছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাড়িতেই নিরাপদ ও পুষ্টিকর ফলমূল এবং শাক-সবজি উৎপাদনে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, তেরাইল কুঠিপাড়ায় বসতবাড়িতে সবজি উৎপাদন ছাড়াও রয়েছে একটি মহিলা কৃষি ক্লাব। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বকুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে ক্লাবের সদস্যরা কৃষির তথ্য পেয়ে থাকেন। তাদের সঞ্চয় দিয়ে আয় বর্ধকমূলক কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। মহিলা কৃষি ক্লাবের মাধ্যমে সদস্যরা আধুনিক ও কৃষি প্রযুক্তি ধারণা নিয়ে তা প্রয়োগ করছেন। এ ক্লাবের কার্যক্রম এক নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষক কৃষাণীদের।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ