হাতুড়ে ডাক্তার রাফিয়াসহ তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড
ফেসবুকের তথ্যনুযায়ী বিষ্ণুপর বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান
দামুড়হুদা অফিস: ফেসবুকের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর-লক্ষ্মীপুর বাজারে তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে হাতুড়ে ডাক্তার রাফিয়া খাতুনসহ তিনজনকে অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পৃথক আদালত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলারা রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিষ্ণুপুর-লক্ষ্মীপুর বাজারে পৃথক আইনে তিনজনকে অর্থদণ্ডাদেশ দেন আদালতের বিচারক।
আদালতসূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের স্ত্রী ফার্মাসিস্ট রাফিয়া খাতুনকে (২৮) মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ড্রাগ লাইসেন্স, ম ও ট্রেড লাইসেন্স না থাকার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সালের ৫১,৫২ধারায় অভিযুক্ত করে ৫ হাজার টাকার অর্থদ-ের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এসময় অভিযুক্ত তার উপর অর্পিত অর্থদ-ের অর্থ নগদে পরিশোধ করে মুক্ত হন। অপরদিকে, একই দিন দুপুর ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর বটতলা বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিষ্ণুপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সুজন আলি (২৮) ও একই গ্রামের বদরউদ্দিনের ছেলে আতিয়ারকে (৩২) তাদের ওষুধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার অপরাধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের ৮৯ ধারায় অভিযুক্ত করে উভয়কেই ৫শ’ টাকা করে মোট এক হাজার টাকা অর্থদ- দেন আদালতের বিচারক। অভিযুক্তরা উভয়ে তাদের উপর অর্পিত অর্থদ-ের অর্থ নগদে পরিশোধ করে মুক্ত হন। পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কার্যে সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জিন্নাত আলি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসের পেশকার জিহন আলী। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলারা রহমান জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে নিবিড় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তথ্যের সঠিকতা প্রমাণ মেলে। লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় জনৈক ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্ট মেয়াদোত্তীর্ণ অসংখ্য ওষুধের সমাহার নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার ব্যবসায়ীক কর্মকা-। এমনকি ছোটখাটো অপারেশনও করছেন অবলীলায়। ফলে গ্রামের সহজ সরল মানুষের জীবন হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার দোকান সাময়িক বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র ছাড়া পুনরায় দোকান খুলতে পারবে না। সমস্ত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয় এবং মোটা অংকের অর্থদ- আরোপ করা হয়েছে। সকল ব্যবসায়ীকে যথাযথ আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা হলো। সেই সাথে জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।