স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করা হয়। বর্তমান কমিটির মেয়াদ গত ১৬ মে সম্পন্ন হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনকে নির্বাচন কমিশনার করা হয়। তিনিই গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফশিলের শুরুতেই বলা হয়েছে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার গঠনতন্ত্র মোতাবেক মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধ্যকতা থাকলেও কোভিড-১৯ এর কারণে তা বিলম্ব হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ১০নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক সহ-সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ১জন, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ১জন, যুগ্ম সম্পাদক ২জন, কোষাধ্যক্ষ ১জন, নির্বাহী সদস্য ১৪জন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক (সংরক্ষিত) দুজন, মহিলা সংরক্ষিত ২ জনকে নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে নির্বাচন পরিচালনার জন্য এ তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর তথা আজ জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি করা যাবে। খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তির শুনানী ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায়। জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নোটিশ বোর্ডে এ তালিকা রাখা হবে। ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় মনোনয়নপত্র বাছাই এবং বৈধ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালীন সময়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে সকাল ১০টায়। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গ্রহণ করা হবে জেলা ক্রীড়া সংস্থায়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার গঠনন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ পরিষদের সদস্য ব্যতীত কেউ কার্যনির্বাহী পরিষদের পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। সাধারণ পরিষদের কোনো সদস্য যে কোনো একটি পদে প্রাথী হতে পারবেন। সাধারণ পরিষদের কোনো সদস্য ২ এর অধিক প্রার্থীর প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হতে পারবেন না এবং একই সদস্য নিজে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হতে পারবেন না। কাটাকাটি অসম্পন্ন মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। নির্বাচন কমিশনার সাধারণ পরিষদের তালিকাসহ উত্থাপিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নসহ নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। উল্লেখিত তফশিল গতকাল গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে।