স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়াস্থ কোভিড-১৯ আরটি পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। বৃহস্পতিবার এ নমুনা প্রেরণ করলেও পূর্বের পরীক্ষার কোন রিপোর্ট আসেনি। কেনো? কুষ্টিয়া থেকে জানানো হয়েছে, আরটি পিসিআর ল্যাবে ত্রুটি দেখা দেয়ায় কোন নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ এ ত্রুটি মেরামত সম্ভব হবে তাও নিশ্চিত করে বলা হয়নি।
বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে করোনা পরীক্ষার নতুন রিপোর্ট না এলেও এদিন আরও ১০ জনের সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এ দিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ৫শ ৯০ জন। বুধবার পাওয়া তথ্য মতে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১শ ৮ জন ছিলো। এর মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালে তথা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলশেন রয়েছেন ৫৯ জন। বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪শ ২৯ জন। চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগী। এ ছাড়া সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেকেই সর্দি কাশি জ্বর তথা করোনা উপসর্গে ভুগলেও নমুনা দিয়ে কী রোগে ভুগছেন তা নিশ্চিত হওয়ার পথে পা বাড়াচ্ছেন না অনেকে। বৃহস্পতিবার কার্পাসডাঙ্গা এলাকার একজন মারা গেলে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, তিনি কী রোগে মারা গেলেন?
চুয়াডাঙ্গায় অনেকেই করোনা উপসর্গ নিয়ে যেমন জন সাধারণের মাঝে ঘুরছেন, তেমনই নমুনা দিয়েও যথা সময়ে রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে তাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। নমুনা দিয়ে রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণে অনেকেই নিজেরা নিজেদের কাজ কর্মে সাধারণ মানুষের মাঝে যেমন যাচ্ছেন, তেমনই কেউ কেউ চা দোকানে বসেও আ্ড্ডায় মত্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার খবর পাওয়া গেলো কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ত্রুটি। ফলে এদিন একজনের রিপোটও আসেনি। ফলে চুয়াডাঙ্গায় নতুন রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় ১শ ৪৯ জন। মাঝে কিছু নমুনার রিপোর্ট নিরুদ্দেশ। সে আর পাওয়া যাবে না। চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগসূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৫শ ৬৮ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৪ হাজার ৩শ ২৯। রিপোর্ট পেতে বাকি ১শ ৪৯ জনের।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ