চুয়াডাঙ্গায় রয়েল এক্সপ্রেসের ধাক্কায় নিহতদের পরিবারে সহায়তা প্রদানকালে এমপি টগর
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে রয়েল এক্সপ্রেসের ধাক্কায় নিহতদের শোকসন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আর্থিক সহায়তা ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেছেন সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিতুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর আলীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার আলীর বাড়ির সামনের মাঠ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলি আজগর টগর বলেন, আমাদের সকলের মৃত্যু অবধারিত। তবে অস্বাভাবিক, অপ্রত্যাশিত বা অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু যেকোনো পরিবারের জন্যই খুব কষ্টের ও বেদনার। যাদের স্বজন হারায় তারাই শুধু এ কষ্ট উপলদ্ধি করতে পারে। এসব পরিবারের সদস্যরা আর কখনোই কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের হারানো স্বজনকে ফিরে পাবে না। মেনে নেয়াও কঠিন হলেও এটাই বাস্তব সত্য। অকালে যাদের প্রাণ ঝরেছে মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাদের বেহেশত নসিব করেন এবং পরিবারগুলো যেন শোক সইতে পারে তার জন্য ধৈর্য্য ধারণের তৌফিক দান করেন। এমপি আলী আজগার টগর আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। দরিদ্র অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও সবকিছু মোকাবেলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতো কিছুর মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এসময় উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারানো পরিবারগুলোর প্রতি বিশেষ নজর রাখার জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। আপনারা সবধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন। নিজেদের মনোবল দৃঢ় করেন। জানি এই অপূরনীয় ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। আপনাদের প্রতি সরকারের সুনজর থাকবে। সেই সাথে তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অসহায় পরিবারগুলোর সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান।
দুর্ঘটনায় নিহত দর্শনা থানার অন্তর্গত তিতুদহ গ্রামের দিনমজুরদের পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদানে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলি মুনছুর বাবু, দর্শনা থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, তিতুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, গড়াইটুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক মাস্টার, ফাতুরুজ্জামান, লিটন মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, জামির আলী, ছাদেক আলী, আবুল কাশেম মাস্টার, শাহালম, ছাদেক আলী, অপু সরকারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট ভোর ৬টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী রয়েল পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় ৬ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামের নিতাই হালদারের ছেলে ষষ্ঠি হালদার (৪০), খাড়াগোদা গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে মিলন হোসেন (৩০), তিতুদহ গ্রামের পিয়াস আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৩৫), একই গ্রামের লুতা ম-লের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৮), হায়দার আলীর ছেলে কালু ম-ল (৪০) এবং রহিম ম-লের ছেলে শরিফ হোসেন (৪০)। নিহতরা আলমসাধু, পাখিভ্যান এবং মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন।