নিজেদের জীবন দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে একটি দেশ ও লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছে
--- চুয়াডাঙ্গার আটকবরে স্থানীয় শহীদ দিবস পালনে এমপি ছেলুন
কার্পাসডাঙ্গা / ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় শহীদ দিবস গত বুধবার পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে চুয়াডাঙ্গার ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার জগন্নাথপুরে ৮ শহীদের সমাধি (আটকবর) চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন দলগুলো মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে স্বল্প পরিসরে কর্মসূচি পালন করে। সকাল ৯ টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
পতাকা উত্তোলনের পর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার , জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড, দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ, চুয়াডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ, জেলা সাবেক যুবলীগ, জেলা মহিলা যুবলীগ, জেলা, জেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা শহীদ সমাধিতে পর্যায়ক্রমে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পুস্পমাল্য অর্পণের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ট সন্তান। রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে।
তিনি বলেন, নিজের জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রেখে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে একটি দেশ ও একটি লাল-সবুজ পতাকা উপহার দিয়েছেন। এ জন্য জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে এবং তাঁদের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিতে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিহাসের এই দিনটি চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসির জন্য মর্মান্তিক ও অন্যতম স্মরণীয়। দিনটিকে ঘিরে প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। এরপর পর শহীদদের আত্নার মাগফিরাত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক নুর ইসলাম মালিক, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলি মুনসুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) মহি উদ্দিন, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্নসম্পাদক ও নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাঃ সম্পাদক আলা উদ্দিন হেলাল, জেলা জাসদের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, জেলা মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক নূর নাহার কাকলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলি আজগার ফটিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান নান্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুদ্দিন বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুদ্দিন বাবলু মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবাদত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুজ্জামান হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন রহমান রঞ্জু, যুবলীগনেতা আব্দুর রশিদ, আব্দুল কাদের, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুল হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক মিঠু বিশ্বাস,
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তফিজ কচি, যুগ্ন সম্পাদকর রতন বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদি হাসান মিলন, উপজেলা ছাত্রলীগনেতা অপু সরকার, নাটুদাহ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই পলাশ। দোয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস। উল্লেখ্য, শহীদ ৮ জন হলেন- আবুল কাশেম, হাসানুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, তারেক, আফাজ উদ্দিন, কেয়ামদ্দিন, রওশন ও খোকন।