বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মিমির (২৬) সাথে কোর্ট বিয়ের নাটক সাজিয়ে দীর্ঘ ৫ মাস স্বামী- স্ত্রীর মতো বসবাস করছে প্রতারক সোহাগ আলী (৩৫)। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না প্রতারক সোহাগের। গ্রামবাসীর তোপের মুখে কোর্টে দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজ তৈরি করে বিয়ের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেছেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রামবাসী জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে মিমির সাথে মাগুরার লিয়াকত আলীর ছেলে সোহাগের ঝিনাইদহ বিসিক শিল্প এলাকায় চাকরির সুবাধে পরিচয় ঘটে। এরপর দু’জনের প্রেম সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়াই। তবে সুচতুর সোহাগ কোর্ট এলাকায় ভুয়া কাগজ তৈরি করে বিয়ের নাটক সাজায়। এপর বিভিন্ন জায়গায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে চলতে থাকে তাদের মেলামেশা। অবশেষে গত মঙ্গলবার মিমিদের বাড়িতে এলে বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে বিয়ের কথা স্বীকার করলেও এলাকাবাসী কেউ জানে না বা কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের কথা জানালেও কোনো বৈধতা দেখাতে পারেনি।
এ বিষয়ে হলিধানী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পারভেজ মিয়া বলেন, মেয়ের পিতা একজন সরল সোজা মানুষ। ওনার বাড়িতে প্রায়ই লোকজন আসে। সন্দেহ হলে দেখা যায়, তার বাড়িতে আসা যুবককের সাথে বিয়ের কোনো বৈধতা নেই। অথচ আজ ৫ মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী বলে তারা দাবি করেন। বুধবার সকালে এলাকার লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মিমিকে নিয়ে সোহাগ কৌশলে জায়গা ত্যাগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকার যুবকরা তাকে হলিধানী বাজারে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ