আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পশুহাট ও পানহাটের ইজারা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। চুয়াডাঙ্গার বড় পশুহাট আলমডাঙ্গা পৌরহাট। এখান থেকে প্রতি হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারিরা গরু ও মোষ কিনতে আসেন। এ বছর হাটের ইজারা মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে হাট ইজারা গ্রহণ করেনি কেউ। নতুন একটি পক্ষ রেলওয়ের কাছ থেকে জমি লীজ নেয়। এতে করে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। রাতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। গতকাল বুধবার রাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাটের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে ১৪৪ ধারা কার্যকর হবে।
জানা যায়, রেলওয়ে পাকশী ডিইও দফতর থেকে হাটের জায়গা কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আইলচারা গ্রামের আকবর আলীকে ৮ জুলাই জমি ইজারা দেন। পৌরসভা ও হাটের আগের ইজারাদার যৌথভাবে টাকা উত্তোলন করতো। কয়েক দিন ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে হাট নিয়ে বিরোধ শুরু হয়।
প্রতি বুধবার পশুহাট বসে। আর রোববার ও বৃহস্পতিবার পানের হাট বসে আলমডাঙ্গা পৌরহাটে। ৩ একর ১৯ শতক জায়গার উপর হাটের কার্যক্রম পরিচালনা হয়। আইনশৃঙ্খলা স্বভাবিক ও যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে সে জন্য হাট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি আদেশে বলা হয়, নতুন করে পাকশী রেলওয়ে হাটের জায়গা ইজারা দেন। নতুন ও পূর্বের ইজারাদারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মতে আলমডাঙ্গা পৌর পশুহাট ও রেলওয়ে সংলগ্ন পান হাট এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সর্ব সাধারণের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। জনসমাবেশ ও মাইক বাজানো যাবে না। রাতেই পৌর পশুহাট এলাকা ও শহরে মাইকিং করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলি বলেন, হাট এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর হবে ভোর থেকে। পৌর এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ভোর থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ