স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫৮ জন। সোমবার আরও ১৮জনকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এ দিয়ে সুস্থ হলেন মোট ১৬৫ জন।
সোমবার (৬ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন ৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে। এদিন চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ৮টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। ৬ জনের নেগেটিভ হলেও ২ জনের পজিটিভ। এ দুজনের মধ্যে একজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কর্মরত স্বাস্থকর্মী। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে উপসর্গে ভুগছিলেন। রোববার নমুনা দেন। সোমবার তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সূত্র বলেছে, নমুনা দেয়ার পরও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। অপরজন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শাখার একজন কর্মচারি। তিনি এমসিজি পদে কর্মরত ছিলেন। উপসর্গ দেখা দিলে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জীবননগর শাখার ১৩ জন আক্রান্ত হলে ওই শাখা লকডাউন করা হয়। এ ব্যাংকের একজন নৈশপ্রহরী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। এরই মাঝে ইসলামী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখার একজন কর্মচারি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলো। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৫ জন।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন। ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও কয়েকজন। দুজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তাদের নমুনা পারীক্ষার রিপোর্ট পরে নেগিটিভ আসে। দর্শনা পৌরসভাভুক্ত কিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। জীবননগরের কিছু এলাকা রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। আলমডাঙ্গার পল্লি হাড়কান্দি গ্রামটিও রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার যে দুজন নতুন শনাক্ত হয়েছে এদের মধ্যে ইসলামা ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার শাখার এমসিজি ব্যাংকের নিকটস্থ একটি স্থানে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। আর স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকের বাড়ি কুকিয়া চাঁদপুর বলে জানা গেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ