বেগমপুর প্রতিনিধি: বেগমপুরের ফুরশেদপুর গ্রামে সরকারি খাসজমি দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারই আলোকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামের ইসলাম মিয়া। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে মাপযোগ করতে মাঠে নামে উপেজলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস। মাপযোগ করে ২ একর সরকারি খাস জমি চিহ্নিত করেন এবং লাল নিশানা টাঙিয়ে দেন। সেই সাথে সতর্ক করে দেয়া হয় খাসজমির ওপর গড়ে ওঠা সকল সম্পদ কেউ তছরূপ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ২৭ নং ফুরশেদপুর মৌজার ২ ও ৩ নং সিটের ১৮৭২ দাগে ৫৯ শতক, ১৯৫৩ দাগে ৪০ শতক, ১১১০ দাগে ৫৯ শতক এবং ১১১৯ দাগে ৪০ শতক প্রায় ২ একর খাস জমি গ্রামের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অবৈধভাবে দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করে আসছে। এরই আলোকে গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে ইসলাম মিয়া খাসজমি দখলমুক্ত করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর পাপিয়া খাতুন বর্ণিত বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার গোলাম মোস্তফা, বেগমপুর ভুমি অফিসের অফিসার আতিকুল হকসহ অফিসের লোকজন সরেজমিনে মাপযোগ করতে যায়। মাপযোগ শেষে অবৈধভাবে দখল হওয়া প্রায় ২ একর খাস জমি চিহ্নিত করেন। সেই সাথে চিহ্নিত করণ জমিতে লাল নিশানা টাঙিয়ে দেন। তদন্তকারী অফিসাররা দখদারদের উদ্দেশে বলেন, অতীতে যা হয়ে গেছে তা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। আজ থেকে সরকারি খাসজমিতে স্থায়ী ও অস্থায় সব সম্পদের মালিক সরকার। কেউ যদি সরকারি সম্পদ তছরূপ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করে দেন। এ ব্যাপারে বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিসার আতিকুল হক বলেন, মাপজোপ করে লাল নিশানা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব। এর বাইরেও খসজমির তথ্য পেলে একইভাবে চিহ্নিত করা হবে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে সিদ্ধান্ত আসবে ওপর থেকে। আর সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বাস্তবায়ন করা হবে।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ