ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ভাবিকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে মেহেরপুরের শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা গোলাম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি। গত ১৬ জুন ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন গোলাম সিদ্দিকীর ভাই খসরু হোসেনের স্ত্রী তহমিনা খাতুন। অভিযুক্ত গোলাম সিদ্দিকী ঝিনাইদহ পৌর এলাকার বড় খাজুরা গ্রামের মৃত ছাদেক আলী ম-লের ছেলে। তিনি বর্তমান মেহেরপুরে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বাদী খাজুরা মাঝেরপাড়া গ্রামের খসরু হোসেনের স্ত্রী তহমিনা খাতুন অভিযোগ করেন, গত ১৫ জুন তার দেবর রোকন আলী ম-ল ইন্তেকাল করেন। ওই দিন নামাজে জানাযা পড়ান তার পোতা ছেলে হাফেজ রাওফুল ইসলাম রাব্বি। দাফন শেষে গোলাম সিদ্দিকী লোকজনের সামনে উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন তার ভাইয়ের জানাজা হাফেজ রাব্বি পড়ালো? এ নিয়ে শুরু হয় হৈচৈ। এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত রাব্বির পিতা মুক্তার হোসেন মুক্তোর সাথে বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন গোলাম সিদ্দিকী। এক পর্যায়ে গোলাম সিদ্দিকী বাঁশের লাঠি দিয়ে বাদী তহমিনা খাতুনসহ তার পোতা ছেলে হাফেজ রাব্বি ও পুত্রবধূ সালমা খাতুনকে মারধর করে। আহত হয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। শুধু মারধর করেই ক্ষ্যান্ত হননি আসামি গোলাম সিদ্দিকী। এসময় বাদীর কাপড় খুলে বেআবরু করে শ্লীলতাহানিরও ঘটনা ঘটান তিনি। এ ঘটনায় গত ১৬ জুন ঝিনাইদহ সদর থানায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামির বড় ভাবি মামলাটি করেছেন। তারা সম্পর্কে দেবর-ভাবি। এটা একটি পারিবারিক বিরোধ। তিনি জানান, আসামি গোলাম সিদ্দিকী ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গোলাম সিদ্দিকীর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ