চুয়াডাঙ্গায় আইসোলেশন ইউনিট থেকে ছাড় পেলেন ছয় পুলিশ সদস্য
স্টাফ রিপোর্টার: উন্নত চিকিৎসা, নীবিড় পরিচর্যা এবং কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সুস্থ হয়ে উঠছেন করোনা আক্রান্ত দর্শনা থানার ৬ পুলিশ সদস্য। করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই করে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন তারা। শনিবার দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়। করোনাজয়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন দর্শনা থানায় কর্মরত শরিফুল, আলাউদ্দীন, সাইফুল ইসলাম, সোয়াদ ও জাকির হোসেন। এসময় করোনাজয়ী পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির, দামুড়হুদা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান।
করোনা জয়ী পুলিশ সদস্যরা জানান, মহান আল্লাহর রহমতে আমরা করোনামুক্ত হয়েছি। ৬ জনই একসঙ্গে হাসপাতাল ছেড়েছি। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম স্যার সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করায় স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা আরও বলেন, এখন সুস্থ আছি। আমার অতি শিগগিরই কর্মস্থলে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় আছি। রোগমুক্ত হওয়ায় আমাদের পরিবারের সদস্যরাও চিন্ত মুক্ত এবং খুব খুশি। তারা বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আমাদের বাইরে বের না হতে বলা হয়েছে। বের হলে অবশ্যই হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, দর্শনা থানায় কর্মরত অবস্থায় কোভিড-১৯ যুদ্ধে মাঠে কাজ করার সময় ৬ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। গত ৫ জুন ওই পুলিশ সদস্যদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনাভাইরাস পজেটিভ আসায় তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৩ জুন ও ১৭ জুন পুনরায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দু’দফায় নমুনা পরীক্ষার ফলাফল করোনা নেগেটিভ আসায় তাদেরকে করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র দেয়া হয়। হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় করোনা প্রতিরোধের সম্মুখ যোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ১৭ জন পুলিশ সদস্যসহ মোট ৩২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ