বেগমপুর প্রতিনিধি : দর্শনা কেরুজ আড়িয়া বাণিজ্যিক খামারের ইনচার্জ মনজুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চিনিকলের গাছ চুরির অভিযোগ ওঠে। চুরিকৃত গাছ পাউয়ারট্রিলারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তা আটকে দেয়। তবে ওই গাছ চুরির উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছিলো না কি প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন তা অনেকের কাছেই পরিস্কার ছিলো না। এ ঘটনায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির তদন্ত চলমান আছে।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের দর্শনা কেরুজ চিনিকলের আওতাধীন আড়িয়া বাণিজ্যিক খামারের ইনচার্জ মনজুরুল ইসলাম ১০ জুন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে খামারের বেশকিছু নিম এবং মেহগনি গাছ ফার্মের লেবার রেজাউল, কালাম, করিমদ্দিন, লাল্টুসহ কয়েকজনের মাধ্যমে পাউয়ারট্রিলারে তুলে দেন। এসময় পাউয়ারট্রিলার চালক ছোটসলুয়া গ্রামের মহিরদ্দিনের ছেলে মজিবুল আড়িয়া গ্রামের ঈদগাহের নিকট পৌঁছুলে উৎসুক গ্রামবাসী তা আটকে দেয়। এ নিয়ে রীতিমত হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে চিনিকলের লোকজন এবং তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন গাছগুলো ফার্ম ইনচার্জ নিজের কাজে ব্যবহারের জন্য চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন না কি প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্য। আড়িয়া ফার্মের কর্মরত কয়েকজন জানান, গাছগুলো ফার্মের কাজে ব্যবহারের জন্য দর্শনা ‘স’ মিলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। আড়িয়া বাণিজ্যিক খামারের গাছ নিয়ে সৃষ্টি হয় ধু¤্রজালের। এ ঘটনায় পরদিন অফিসার আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় চিনিকল কর্তৃপক্ষ। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন অফিসার জাকারিয়া ও আলামিন হোসেন। তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কচ্ছপ গতিতে অব্যাহত রেখেছে। তদন্ত কমিটির একজন নাম প্রাকাশ না করার শর্তে বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নিয়ম মাফিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি শুধুমাত্র তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করে। চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। এদিকে অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, চিনিকলের কোনো অনিয়মের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আজঅবধি কারো কিছু হয়েছে বলে খুব একটা দৃশ্যমান নেই। তবে সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব এমনটাই মনে করে সচেতন মহল।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ