আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ টাঙ্গাঈল জেলার নাগরপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভ’য়া সিআ্ইডির এসপি পরিচয়দানকারীর অন্যতম সহযোগী বিকাশ ব্যবসায়ী ছমিরকে গ্রেফতার করেছে। ভ’য়া সিআইডির এসপি পরিচয়দানকারী আকমাল হোসেন মামুনের স্বীকারোক্তী মোতাবেক ১০ জুন সকাল থেকে ভোর অবদি অভিযান চালfন। অভিযানে ধরাপড়ে টাঙ্গাঈল জেলার নাগরপুর উপজেলার বিকাশ ব্যবসায়ী ছমির। তাকে অলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে শুরু হয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ। এর আগে ৩ মে সিআইডির এসপি পরিচয়দানকারী সিরাজগঞ্জ জেলার চরকাঠারিয়া গ্রামের আকমাল হোসেন মামুন পুলিশের হাতে ধরাপড়ে।
জানাগেছে, গত ২ এপ্রিল সিআইডির এসপি আতিক পরিচয় দিয়ে করোনায় ত্রাণ দেওয়ার নামে আলমডাঙ্গা উত্তরা ট্রের্ডাসের ম্যানেজার মহেশ কুমার ভৌতিকার নিকট ১ লাখ টাকা দাবী করে। পরে মহেশ কুমার ভৌতিকা ৫০ ,হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়। পরে মহেশ কুমার ভৌকিতা প্রতারিত হয়েছে জানতে পেরে বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। ওই মামলার সুত্রধরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ নওগাঁর রাণিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ৩ মে আকমাল হোসেন মামুন ( ৪৯) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার চরকাটারি গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে। আকমাল হোসেন মামুনকে গ্রেফতার করার পর সংশ্লিষ্ঠ মামলায় তাকে আদালতে প্রেরন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মাসুদুর রহমান। আকমাল হোসেন মামুনকে রিমান্ডে নিয়ে আসার পর তার স্বীকারোক্তী মোতাবেক সিআইডির ভ’য়া এসপি পরিচয়দানকারী প্রতারক আকমাল হোসেন মামুনকে সঙ্গে নিয়ে টাঙ্গাঈল জেলার নাগরপুর উপজেলার কদিমকাকনা গ্রামে সকাল থেকে ভোর রাত অবদি অভিযান চালিয়ে গ্রামের মৃত কেচমত আলীর ছেলে প্রতারকের অন্যতম সদস্য বিকাশ ব্যবসায়ী ছমির উদ্দিন(৩৭)কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন। ছমিরকে গ্রেফতারের সময় তার বাড়ি থেকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল, কয়েকটি সীম ও কয়েকটি খাতা উদ্ধার করেন।
আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মাসুদুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত প্রতারক বিভিন্ন সময় নিজেকে ডিসি, এসপিসহ সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ধনাঢ্য ব্যাবসায়ীদের নিকট চাঁদাবাজি করে থাকে। তাদের একটি চক্রআছে। এই চক্রটির ২সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।