মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এগোনো আটকাতেই ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিলো ভারত। প্রথমে এ প্রশ্ন তোলেন স্বয়ং ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। সেই সূত্র ধরে পরে এ নিয়ে বিষোদগার করেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি লেগস্পিনার মুশতাক আহমেদ। এবার সেই বিতর্কই ফের উসকে দিলেন সাবেক পাক ক্রিকেটার আবদুল রাজ্জাক। বললেন, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বমঞ্চে ওই ম্যাচে ইচ্ছাকৃত হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। এর কঠোর শাস্তি চেয়েছেন তিনি। রাজ্জাক বলেন, টিভি উপস্থাপক হিসেবে ওই দিন আমার এ অনুভূতিই হয়েছিলো। ম্যাচ গড়াপেটা রুখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে আইসিসি। সেই মোতাবেক পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে উঠতে না দিতে ইচ্ছা করে হারা দলটিকে জরিমানা ও শাস্তি-দুটিই দেয়া উচিত। এখানেই থেমে থাকেননি পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। বজ্রকণ্ঠে তিনি বলেন, অল্পবিস্তর ক্রিকেট খেলা লোকজনও সহজেই এ বিষয়টি ধরতে পারবে। একজন কোয়ালিটি বোলার সঠিক লাইন লেংথে বল না করলে এবং উইকেট শিকারে চেষ্টা না দেখালে ব্যাপারটি সবার চোখেই পড়বে। সবাই বুঝতে পারবে সেই বোলার স্বেচ্ছায় এ কাজ করছে। এতেই আইসিসির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রাজ্জাক। তার কথায়, ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার নতুন নিয়ম চালু করা উচিত। তাতে উল্লেখ থাকবে, কোনো দল নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী পারফর্ম না করলে শাস্তি পাবে। ওই ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির ইনিংসকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন তিনি। তার ভাষ্যমতে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। শুধু আমিই না, অন্য ক্রিকেটাররাও এ কথা বলছে। সবাই দেখেছেন, যে হরহামেশা ছক্কা হাঁকাতে পারে, সে-ই নিয়মিত ডিফেন্স করেছে। এর আগে গেল বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে ভারতের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্টোকস। নিজের সদ্য প্রকাশি বই ‘অন ফায়ারে’ এ জিজ্ঞাসা করেন তিনি। শুরু থেকে অপরাজিত থাকা টিম ইন্ডিয়া একমাত্র ইংল্যান্ডের কাছেই গ্রুপপর্বের শেষদিকে হারে। সেই লড়াইয়ে বার্মিংহ্যামে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ৩১ রান আগেই থমকে যায় ভারতের ইনিংস। ‘অন ফায়ারে’ স্টোকস লিখেছেন, জয়ের জন্য শেষ ১১ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১১২ রান। এমন অবস্থায় খেলতে নেমে অদ্ভুত ব্যাটিং করেন ধোনি। বাউন্ডারি মারার বদলে সিঙ্গেলস নেয়ার জোর প্রচেষ্টা চালান উনি। কমপক্ষে ১২ বল হাতে রেখে ম্যাচটা জিততে পারত কোহলি বাহিনী। তিনি আরও লিখেছেন, ধোনি কিংবা তার পার্টনার কেদার যাদবের ম্যাচ জেতার কার্যত কোনো ইচ্ছাই ছিলো না।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ