গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলায় আবারও শুরু হচ্ছে সরকারি গম ক্রয়। গতকাল বুধবার ইউএনও’র সভাকক্ষে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৩৪ জন কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। তবে স্থানীয় বাজার মূল্যের সাথে সরকারি মূল্যের তেমন তফাৎ না থাকায় সরকারি খাদ্য ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মরসুমে গাংনী উপজেলায় ১ হাজার ৮৪৭ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য অধিদফতর।
স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ গম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সরকারি মূল্য প্রতি ২৮ টাকা হিসেবে এক মণের দাম ১ হাজার ১২০ টাকা। সরকারি খাদ্য গুদামে গম বিক্রির শর্ত পূরণ করতে গিয়ে খরচ বৃদ্ধি পায় চাষিদের। ফলে অনেক চাষি সরকারি খাদ্য গুদামে গম বিক্রি করতে অনিহা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকার ৬ হাজার ৪২ জন গম চাষির তালিকা প্রস্তুত করা হয়। উপজেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ইউনিয়নভিত্তিক গম উৎপাদনের ওপরে ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে কৃষি অফিস প্রস্তুতকৃত ৬ হাজার ৪২ জন চাষির মধ্যে ১ হাজার ৮৩৪ জন চাষির নামের তালিকা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে গতকালের লটারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বিশ্বাস, গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি রমজান আলী, খাদ্য অফিস ও থানাসহ খাদ্য ক্রয় কমিটির সদস্যবৃন্দ।
গাংনী উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ অধিদফতরের সহকারী প্রোগ্রামার আব্দুর রকিব ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে চাষিদের তালিকা প্রণনয়ন করেন। এর মধ্যে কাথুলী ইউনিয়নে ১৯৭ জন, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে ১৯৮ জন, ধানখোলা ইউনিয়নে ২১২ জন, গাংনী পৌরসভায় ১২২ জন, বামন্দী ইউনিয়নে ২০৯ জন, মটমুড়া ইউনিয়নে ১৯৭ জন, রাইপুর ১৬৩ জন, ষোলটাকা ইউনিয়নে ১৬০ জন, সাহারবাটি ইউনিয়নে ১৯০ জন ও কাজিপুর ইউনিয়নে ১৮৬ জন।
লটারি করার পর খাদ্য ক্রয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্বাক্ষরসহ তালিকা প্রকাশ করা হয়। লটারি তালিকার চাষিরা প্রত্যেকে এক মেট্রিক টন করে গম বিক্রি করতে পারবেন। ইউনিয়ন ভিত্তিক পৃথক দিনে গম ক্রয় করা হবে।
এদিকে লটারিতে তালিকাভুক্ত কয়েকজন চাষির সাথে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্য গুদামে গম বিক্রির কিছু নিয়ম অনুসরণ করা লাগে। নির্দিষ্ট আর্দ্রতা ও প্রয়োজনীয় মান নিশ্চিত না হলে গম ক্রয় করা হয় না। নিয়ম অনুসরণ করতে গিয়ে চাষিদের খরচ বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে গম কর্তন করার অনেক পরে ক্রয় কার্যক্রম হওয়ায় চাষিদের ঘরে গমের মজুদ কম। স্থানীয় বাজারে ভালো দর পাওয়ায় গুদামে গম বিক্রি করতে চাষিদের মাঝে অনিহা দেখা দিয়েছে।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ