আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় নিজ অর্থায়নে হোটেল রেস্টুরেন্টের অসচ্ছল ৮০টি শ্রমিকের পরিবারের সকল সদস্যদের ঈদের পোশাক ও ঈদ উপহার সামগ্রী দিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিক সভাপতি শ্রী মুক্তি বাবু কর্মকার। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে হোটেল বন্ধ থাকায় অসচ্ছল হোটেল শ্রমিকদের পবিত্র ঈদুল ফিতরে পরিবারের জন্য পোশাক ও ঈদের বাজার নিয়ে তারা চিন্তিত ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই হোটেল শ্রমিক সভাপতি শ্রী মুক্তি বাবু কর্মকার তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের পোশাক ও ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে প্রত্যেকের বাড়িতে হাজির হন । আলমডাঙ্গা শহরের প্রায় ৩০/৩৫ টি হোটেল রেস্টুরেন্ট আছে। এ সব হোটেল রেস্টুরেন্টে প্রায় সাড়ে ৩শ শ্রমিক কাজ করে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লগডাউনে এ সব শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এসব শ্রমিকদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম শ্রমিক আছে। এদের মধ্যে কিছু শ্রমিক সচ্ছ ও কিছু শ্রমিক অসচ্ছল। কর্ম না থাকায় শত কষ্ট বুকে নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে এসব শ্রমিকরা আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি এটিম মাঠে হাজির হয় সভাপতি শ্রী মুক্তি বাবুর সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।
এসময় বেশ কিছু হোটেল শ্রমিকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের প্রায় আড়াই মাস কাজ নেই। করোনা ভাইরাসের কারণে সব হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আমরা সাড়ে তিনশ শ্রমিক শহরে বিভিন্ন হোটেলে কাজ করি। সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে কর্মহীন মানুষের সাহায্য দিচ্ছে। সভাপতি মুক্তি বাবু আমাদের সাড়ে ৩শ শ্রমিকের নামের তালিকা করে উপজেলায় জমা দেয়। সেখান থেকে মাত্র ৮০ টি শ্রমিককে সাহায্য করা হয়েছে মাত্র একবার। আমাদের শ্রমিকদের ভিতরে বাইরে থেকেও এখানে কাজ করতে আসে অনেকে। লগডাউনের কারণে তারা নিজ বাড়িতে যেতে পারিনি। তারাও মানবতার জীবন যাপন করছে। আমরা হোটেল শ্রমিকরা মুসলমান হিন্দু একসাথে ভায়ের মত এক জায়গায় কাজ করি। এক মাস রোজা শেষে মুসলমান ভাইদের পবিত্র ঈদ। হিন্দুদের কথা দূরে থাক। তাদেরকে সরকার বা কোন জনপ্রতিনিধিই সাহায্য করেনি। আমরা যেখানে রাতদিন কাজ করতাম তারাও আমাদের কোন সাহায্য করেনি। আমাদের মধ্যে কিছু অসচ্ছল শ্রমিক আছে যাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর করা চিন্তিত ছিল। ঠিক সেই সময়ই আমাদের সভাপতি শ্রী মুক্তি বাবু কর্মকার তার নিজ অর্থায়নে ৮০টি শ্রমিকের পরিবারের সকল সদস্যদের নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার সামগ্রী বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিয়েছেন।
হোটেল শ্রমিক সভাপতি শ্রী মুক্তি বাবু কর্মকার বলেন, আমরা সকল শ্রমিক ভাই ভাই। সে মুসলমান হোক বা হিন্দু। পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলমান ভাইদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আমরা সাড়ে ৩শ হোটেল শ্রমিক সবাই মুসলমান না। প্রত্যেক মুসলমান ভাই চায় তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের দিন নতুন পোশাক পড়বে। সবাই একসাথে পিন্নি, সেমাই খাবে। করোনা ভাইরাসে লগডাউন হওয়ার কারণে সবাই কর্মহীন। তাই বলে কি তারা ঈদে নতুন পোশাক পড়তে পারবে না, ফিন্নি সেমাই খাবে না। সেই চিন্তা করে আমি বসে থাকতে পারিনি। আমার সাধ্যমত আমি ৮০টি শ্রমিক ভাইয়ের পরিবারের সকল সদস্যকে ঈদে নতুন পোশাক কিনে দিয়েছি। তাদেরকে ঈদ উপহার সামগ্রী বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আমি আমার শ্রমিক ভাইদের পক্ষ থেকে সরকার বাহাদুরের নিকট শ্রমিক ভাইদের জন্য কিছু করার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শ্রমিক ভাইদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তাদের আর মানবতার জীবন যাপন করতে হতো না। আমি মাননীয় এমপি মহাদয়, জেলা প্রশাসক , উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আমাদের হোটেল শ্রমিকদের জন্য তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হোটেল শ্রমিক সম্পাদক ঠান্ডুর রহমান, সহসভাপতি ময়না কর্মকার, সহসম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদস্য মাসুদ, ঠান্ডু, আলম, গাফফার, সাজু, হাসান, আজম, আমজেদ, আহাম্মদ, লিটন, মোজাহিদ, জনি, ডালিম, শুভ, শুকুর আলী, হাসান, রিংকু, সাগর প্রমুখ।
এসময় বেশ কিছু হোটেল শ্রমিকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের প্রায় আড়াই মাস কাজ নেই। করোনা ভাইরাসের কারণে সব হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আমরা সাড়ে তিনশ শ্রমিক শহরে বিভিন্ন হোটেলে কাজ করি। সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে কর্মহীন মানুষের সাহায্য দিচ্ছে। সভাপতি মুক্তি বাবু আমাদের সাড়ে ৩শ শ্রমিকের নামের তালিকা করে উপজেলায় জমা দেয়। সেখান থেকে মাত্র ৮০ টি শ্রমিককে সাহায্য করা হয়েছে মাত্র একবার। আমাদের শ্রমিকদের ভিতরে বাইরে থেকেও এখানে কাজ করতে আসে অনেকে। লগডাউনের কারণে তারা নিজ বাড়িতে যেতে পারিনি। তারাও মানবতার জীবন যাপন করছে। আমরা হোটেল শ্রমিকরা মুসলমান হিন্দু একসাথে ভায়ের মত এক জায়গায় কাজ করি। এক মাস রোজা শেষে মুসলমান ভাইদের পবিত্র ঈদ। হিন্দুদের কথা দূরে থাক। তাদেরকে সরকার বা কোন জনপ্রতিনিধিই সাহায্য করেনি। আমরা যেখানে রাতদিন কাজ করতাম তারাও আমাদের কোন সাহায্য করেনি। আমাদের মধ্যে কিছু অসচ্ছল শ্রমিক আছে যাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর করা চিন্তিত ছিল। ঠিক সেই সময়ই আমাদের সভাপতি শ্রী মুক্তি বাবু কর্মকার তার নিজ অর্থায়নে ৮০টি শ্রমিকের পরিবারের সকল সদস্যদের নতুন পোশাক ও ঈদ উপহার সামগ্রী বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিয়েছেন।
হোটেল শ্রমিক সভাপতি শ্রী মুক্তি বাবু কর্মকার বলেন, আমরা সকল শ্রমিক ভাই ভাই। সে মুসলমান হোক বা হিন্দু। পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলমান ভাইদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আমরা সাড়ে ৩শ হোটেল শ্রমিক সবাই মুসলমান না। প্রত্যেক মুসলমান ভাই চায় তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের দিন নতুন পোশাক পড়বে। সবাই একসাথে পিন্নি, সেমাই খাবে। করোনা ভাইরাসে লগডাউন হওয়ার কারণে সবাই কর্মহীন। তাই বলে কি তারা ঈদে নতুন পোশাক পড়তে পারবে না, ফিন্নি সেমাই খাবে না। সেই চিন্তা করে আমি বসে থাকতে পারিনি। আমার সাধ্যমত আমি ৮০টি শ্রমিক ভাইয়ের পরিবারের সকল সদস্যকে ঈদে নতুন পোশাক কিনে দিয়েছি। তাদেরকে ঈদ উপহার সামগ্রী বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আমি আমার শ্রমিক ভাইদের পক্ষ থেকে সরকার বাহাদুরের নিকট শ্রমিক ভাইদের জন্য কিছু করার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শ্রমিক ভাইদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তাদের আর মানবতার জীবন যাপন করতে হতো না। আমি মাননীয় এমপি মহাদয়, জেলা প্রশাসক , উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আমাদের হোটেল শ্রমিকদের জন্য তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হোটেল শ্রমিক সম্পাদক ঠান্ডুর রহমান, সহসভাপতি ময়না কর্মকার, সহসম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদস্য মাসুদ, ঠান্ডু, আলম, গাফফার, সাজু, হাসান, আজম, আমজেদ, আহাম্মদ, লিটন, মোজাহিদ, জনি, ডালিম, শুভ, শুকুর আলী, হাসান, রিংকু, সাগর প্রমুখ।
Attachments