জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলায় নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে গতকাল পর্যন্ত ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ১৮ জনের রিপোর্ট আগামীকাল বৃহস্পতিবার পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলার আলীপুরের করোনায় আক্রান্ত যুবক আলমডাঙ্গা উপজেলায় গিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিয়েছিলো। অন্যদিকে কুলতলার আক্রান্ত ভাংগারী ব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গাতে নমুনা দিয়েছিলেন এবং জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ব্রাদার যিনি প্রেষণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মরত তিনিও পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গাতে তার নমুনা দেন ।
জীবননগর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত করোনার মতো উপসর্গ দেখা দেয়াতে ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২৯ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি ১৮ জনের রিপোর্ট আগামীকাল পাওয়া যাবে জানানো হয়েছে। জীবননগর হাসপাতালের আরএমও ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু জানান, আলীপুর ও কুলতলার আক্রান্তদের নমুনা আবারও নিয়ে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। মিনাজপুর গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকৃত বালিকার রিপোর্টও আগামীকাল পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরাদের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জানান, কেবলমাত্র গত দুই দিনে জীবননগর হাইস্কুলপাড়া ও আঁশতলাপাড়ায় ৫ জন বাড়িতে ফিরেছেন। এর মধ্যে দুই জন পুরুষ ও ৩ জন নারী রয়েছেন। সারা উপজেলাজুড়ে এ অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি জানান, বাড়ি ফেরা ব্যক্তিরা হোম কোয়ারেন্টাইনের শর্ত না মেনে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে খবর পেয়েছি। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ করতে না পারলে ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তিনি জানান, প্রয়োজনে বাড়ি ফেরাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হবে এবং তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে।