৬শ’ কেজি চাল ডিলারের পেটে : চার বছর কার্ডে নাম থাকলেও দেয়া হয়নি চাল
দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদার হাউলি ইউনিয়নে দারিদ্রদের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি কার্ডের চাল নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ডিলার আয়ুব আলী স্বপনের বিরুদ্ধে। দিনমজুর ইউছুপ আলীর নামে চার বছর আগে ১০টাকা কেজি দরের চালের কার্ড ইস্যু হলেও তাকে চাল দেয়া হয়নি। চার বছরের ৬শ’ কেজি চাল এখন ডিলারের পেটে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের দিনমজুর ইউসুফ আলীর নামে চার বছর আগে দারিদ্র, অসহায় ও দুস্থদের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চালের কার্ড ইস্যু হয়। যে কার্ডের সিরিয়াল নং-১২০৮১। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত চার বছর যাবৎ দিনমজুর ইউসুফ আলী ১ কেজি চালও পাননি। দিনমজুরের ৪ বছরের ৬শ’ কেজি চাল ডিলারের নিকট থেকে গায়েব হয়ে গেছে। তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া এ কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়নসহ দরিদ্ররা যেনো এ সুবিধা পায় এবং কার্ড ও চাল বিতরণে অনিয়মকারীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর।
দামুড়হুদার হাউলি ইউনিয়নের সরকারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার আয়ুব আলী স্বপন বলেন, আমি ডিলার পেয়েছি গত ২ বছর আগে। নামের ভুল বোঝাবুঝির কারণে ইউছুফ আলী ওরফে ইছু নাম হওয়ায় তাকে চাল দেয়া হয়নি। তার দুই বছরের ৩শ’ কেজি চাল আমার কাছেই আছে। আমার সাথে ইউছুফ আলীর মিমাংসা হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ইউছুফ আলী জানান, হাউলি ইউনিয়নের ১০টাকা কেজি চালের ডিলার আয়ুব আলী স্বপনের সাথে আমার কোনো মিমাংসা হয়নি। তবে সে বলেছে আগামী রোববার আমার দুই বছরের ৩শ’ কেজি পাওনা চাল দিয়ে দেবে।
দামুড়হুদা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক দেলুয়ার হোসেন জানান, ২০১৭ সালে ইউসুফ আলীর নামে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চালের কার্ড ইস্যু হয়। যা বিভিন্ন সময় যাচাই বাছাই করে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। তবে ইউসুফ আলীর কার্ড এখন পর্যন্ত বহাল আছে। এই কার্ডের চালের বরাদ্ধ সঠিক আছে এবং নিয়মিত ডিলারের কাছে এ কার্ডের চাল সরবারহ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দামুড়হুদার জয়রামপুরের ৩নং ওয়ার্ডের দিনমজুর ইউসুফ আলীর তালিকা অনুযায়ী নিয়মিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু সে আজ অবদি কেনো চাল পাইনি এটা আমাদের জানা নেই। ডিলারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পদাধিকার বলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চাল বিতরণ কমিটির সভাপতি ও হাউলি ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন বলেন, এ ধরনের কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন বলেন, দামুড়হুদার হাউলি ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চালের কার্ড আছে কিন্তু চাল পাইনি এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার সত্যতা মিললে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর অইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
1 টি মন্তব্য
উত্তর দিন
উত্তর বাতিল করুনYou must be logged in to post a comment.
খুব ভালো সংবাদপত্র বলে আমার আস্থা আছে।