কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রান্তিক ও অসহায় রোজগারহীন পরিবারে মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে কৃষকদের কাছ থেকে নায্যমূল্যে সবজি কিনে বিতরণও করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যশোর সেনানিবাসের ২০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কর্তৃক করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় জেলার প্রতিটি উপজেলাতে প্রতিদিন এ কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে। গতকাল বুধবার জেলার ১৫০টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কুষ্টিয়া জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিভিন্ন পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম দীর্ঘ এক মাস ধরে এ অব্যাহত রেখেছেন তারা।
যশোর সেনানিবাসের ২০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল আসাদুজ্জামান তাপস জানান, করোনা ভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে, লকডাউন এর কারণে যেসব প্রান্তিক অসচ্ছল মানুষ আয় রোজগার করতে পারছে না, তাদের সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী প্রধানের অনুপ্রেরণায় আমরা যশোর সেনানিবাস হতে আমাদের সকল পদবীর সেনা সদস্যেদের নিজস্ব রেশন থেকে এই ত্রাণের ব্যবস্থা করছি এবং বিগত ১ মাস যাবৎ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি যারা প্রকৃৃতভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় তাদেরকে আইডেন্টিফাই করে প্রতিটি পরিবারের জন্য ১ সপ্তাহের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করার জন্য।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে দেশের চালিকাশক্তি কৃষক ভাইয়েরা যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় এবং সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এর আদেশে আমরা ২০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের কাছ থেকে শাক সবজি ক্রয় করছি, যা আমাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি, স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করছি। লকডাউন চলার কারণে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ায়, কৃষকরা উৎপাদিত ফসল দূরের হাট বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে বা পাঠাতে পারছেন না এবং ফলশ্রুতিতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তাই কৃষকের সুবিধার কথা চিন্তা করেই প্রান্তিক পর্যায়ে তাদের ক্ষেত থেকেই আমরা ফসল সংগ্রহ করছি।
কুষ্টিয়া জেলার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত ইউনিট ২০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ৩ দফায় কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার ১৫ জন কৃষকের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করেছে এবং এই উদ্যোগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেনো কৃষক ভাইয়েরা এর মাধ্যমে উপকৃত হন।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ