মাথাভাঙ্গা অনলাইন: কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় থাকার কথা বলা হলেও চুয়াডাঙ্গায় তার কোন কিছুই মানছে না সাধারণ মানুষ। তাছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হলেও তা শুধু নামমাত্র লকডাউন। প্রতিদিনই রাস্তায় শতশত জন-সমাগম লক্ষ করা যাচ্ছে। বাজার সহ সাধারণ দোকানপাটও বাইরে থেকে বন্ধ থাকলেও ভেতরে হচ্ছে বেঁচাকেনা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেখা যায় শহরের ফেরিঘাট রোড়ের পূবালী ব্যাংক, সদর থানার সামনে ইসলামী ব্যাংক, শহীদ হাসান চত্তরের পাশে সোনালী ব্যাংক সহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে গ্রাহকরা সামাজিক দূরত্ব না মেনে দীর্ঘলাইন করে দাড়িয়ে আছে। লকডাউনের মধ্যেই সাধারণ অন্যান্য দিনের মতোই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গ্রাহকরা ভিড় করছেন লাইনে। ব্যাংক খোলার আগেই সকাল থেকেই লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থাকছেন শতশত মানুষ। দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে থাকার পরও ঠিক মতো লেনদেন করতে পারছে গ্রাহকেরা।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কলাবাড়ী, রামনগর, লক্ষীপুর গ্রামের আল-আমিন. রবকত রমজানসহ কয়েকজন গ্রহক জানান, তামাক বিক্রির টাকা তুলতেই চাষীরা সকাল ১০ টায় ব্যাংক খুললেও ভোর থেকে দীর্ঘলাইনে দাড়িয়ে পড়ে সবাই। এদের ভিতরে সাধারণ গ্রাহকও রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের ইসলামী ব্যাংকে টাকা তুলতে আসা মোজাম্মেল হক জানান,, সপ্তাহে তিনদিন ব্যাংকগুলো তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। গ্রাম থেকে আসা চাষীরা ভোর থেকে টাকা তোলার জন্য লাইনে দাড়ালেও ঠিকমতো ব্যাংকের সুবিধা পাচ্ছেন না। যার ফলে দীর্ঘ লাইনের জটলা বাঁধছে।
ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের দীর্ঘলাইনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুবালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখার ম্যানেজার মুনসুর আলী জানান, আমরা ব্যাংকের ভিতর সামাজিত দুরুত্ব রজায় রেখেছি। বাইরে যারা মানছে না তাদেরকে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দুরুত্ব রজায় রাখার চেষ্টা করছি।