মাথাভাঙ্গা অনলাইন: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান খানের মৃত্যুর এক দিন না পেরোতেই চলে গেলেন আরেক খ্যাতিমান অভিনেতা ঋষি কাপুর।বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।তার বড় ভাই অভিনেতা রণধীর কাপুর ঋষির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে সহ-অভিনেতা ঋষি কাপুরের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন বলিউড বাদশাহ অমিতাভ বচ্চনও। শ্বাসকষ্ট জনিত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঋষি কাপুরকে বুধবার ভোরে মুম্বাইয়ের এইচ এন এন রিলায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আর সুস্থ হয়ে উঠেননি।মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। এর আগে গত ফেব্রয়ারিতে দিল্লিতে পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঋষি। তড়ঘড়ি কর সেই সময় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল রাজধানীর একটি নামকরা হাসপাতালে। সেই সময় সংক্রমণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মুম্বাই ফিরে আসার পরে তিনি আবার ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। তবে বেশিদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ঋষি ২ এপ্রিলের পর থেকে টুইটারে নতুন কোনো পোস্ট করেননি। তবে তার একাধিক পোস্ট বিতর্ক ছড়িয়ে ভাইরাল হয়েছে বহুবার। সমাজ-রাজনীতি সব কিছুতেই নিজের খোলামেলা মন্তব্যের জন্য পরিচিত ছিলেন। একটু সুস্থ হওয়ার পরেই ফের কাজের দুনিয়ায় দেখা গেছে ঋষি কাপুরকে। দেখা গেছে নানা অনুষ্ঠানেও। হলিউডি রিমেক দ্য ইন্টার্ণ এ শুট শুরুর কথা ছিল ঋষির। এই ছবিতে তার বিপরীতে দেখা যেত নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনকে। ২০১৮ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঋষি কাপুর। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক যান তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে ফেরেন তিনি। ঋষি কাপুর একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রযোজক এবং পরিচালক যিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য সুপরিচিত। ১৯৭০ সালে তার পিতার চলচ্চিত্র মেরা নাম জোকারে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরস্কার জিতে নেন। এরপর ববি চলচ্চিত্রে ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান এবং ১৯৭৪ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। ১৯৭৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ৯২টি রোমান্টিক চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন যেখানে ৪১টি চলচ্চিত্রে সহ-তারকাদের সমন্বয় ছিলো। বাকি ৫১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে মাত্র ১১টি চলচ্চিত্রে তিনি সফলতা পান। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তার সহর্মিনী নীতু সিংয়ের বিপরীতে মোট ১২টি চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করেন। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ বলিউডসহ গোটা দেশ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ঋষি কাপুরের অনুরাগীরা তার প্রতিভায় বুঁদ হয়েছিলেন। ভারতীয় সিনে দুনিয়া এবং চলচ্চিত্রপ্রেমীরা তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। এর আগে বুধবার ভারতের মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালের আইসিইউতে থাকাবস্থায় মারা যান কালজয়ী অভিনেতা ইরফান খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। ২০১৮ সালে নিউরোএন্ডোক্রাইন ক্যানসারে আক্রান্ত হন ইরফান। লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসাও নেন। এরপর খানিকটা সুস্থ হয়ে ‘আংরেজি মিডিয়াম’ছবিতে অভিনয় করেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রচারে ছিলেন না।
পূর্ববর্তী পোস্ট
আলমডাঙ্গার বন্দর ভিটায় কর্মহীন ও হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ