কুষ্টিয়ায় পিকআপচাপায় ডিসির দেহরক্ষী নিহত

মেহেরপুরের গাংনীর মোহাম্মদপুরে শোকের মাতম

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মাথাভাঙ্গা অনলাইন: পিকআপ ভ্যানের চাপায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের গ্যানম্যান (দেহরক্ষী) ইব্রাহিম খলিল (৩০) নিহত হয়েছেন।  সোমবার রাত আটটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কানাবিল মোড়ে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ইব্রাহিম খলিল মেহেরপুর গাংনী উপজেলা মটমুড়া ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি প্রায় দেড় বছর ধরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের গ্যানম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনার পরপরই পিকআপটি দ্রুত চলে যায়। চালককে ধরতে ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করতে পুলিশ শহরের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করছে।

জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্র জানায়, রাত ৮টার দিকে ইব্রাহিম খলিল নিজ মোটরসাইকেল চালিয়ে কুষ্টিয়া শহর থেকে ত্রিমোহনী এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কানাবিল মোড়ে একটি ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইব্রাহিম মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান ইব্রাহিমকে চাপা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। মাথায় হেলমেট থাকলেও সেটি চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন মসজিদ প্রাঙ্গণে পুলিশ সদস্য ইব্রাহিমের জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়ি মহাম্মদপুরে পাঠানো হয়। জানাজায় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলুসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাঁকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ইব্রাহিমের বাবা আলাউদ্দিনও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। দুই ভাইয়ের মধ্যে ইব্রাহীম ছোট। তিনি স্ত্রী ও আড়াই বছরের একটি ছেলে রেখে গেছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, চালক ও পিকআপটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।

 

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More