সাহিত্য পাতা
দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সাহিত্য পাতার অনলাইন সংস্করণ
টিপ্পনী-ওরা সবাই মিলে
আহাদ আলী মোল্লা
প্রতারণার ধরন দেখুন
শিউরে ওঠে গা,
আটক করো বিচার করো
তাও বলা যায় না।
ওদের আছে খুঁটির জোর
পয়সা টাকা গুটির জোর
বললে বিপদ আরও;
ইচ্ছে মতোন চলে ফেরে
ধার ধারে না কারো।
কোনো কালেও…
টিপ্পনী-বাড়ি যাবেন কবে
আহাদ আলী মোল্লা
দশ দশ দিন করেন চুরি
গেরস্তের একদিন,
আজকে হবে কঠিন বিচার
জেলের সাজা নিন।
কামাই করার মুরোদ আছে
গায় গতরে গোশ
খাটেন না তাও মাঠে ঘাটে
এটাই ভীষণ দোষ।
এবার দেখুন ভেবে সবাই
কী…
টিপ্পনী-কঠোর পদক্ষেপ
আহাদ আলী মোল্লা
যারা করেন বগর বগর
মুখে মারুন টেপ,
প্রশ্ন ফাঁসের জন্য কঠোর
চাচ্ছি পদক্ষেপ।
স্রোতের পানে গা ভাসিয়ে
অমন করে না ভাসিয়ে
ব্যবস্থা নিন সত্তর,
অসৎ লোকের হাতে কেন
দিচ্ছো কাগজপত্তর?…
টিপ্পনী-ধরতে হবে তাড়িয়ে
আহাদ আলী মোল্লা
আমরা সবাই ভুলের শিকার
ভুলের ওপর দাঁড়িয়ে-
মিথ্যে অনেক ভাষণ ঝাড়ি
দুই দুটো হাত নাড়িয়ে।
আকাম কুকাম করছি হাজার
নিজের সীমা ছাড়িয়ে,
লোভ দেখালেই ঠিক না বেঠিক
যাচ্ছি তাতেও ঘাড়িয়ে।…
টিপ্পনী-যারা আসল খাদক
-আহাদ আলী মোল্লা
মদ খেকোরাই বদ বেশি হয়
বোতল-গেলাস উপুড়,
কী বিচ্ছিরি! খেয়ে করে
নষ্ট কাপুড়চুপুড়।
গাঁজাখোরের পাঁজা পোড়ায়
নাকের ছাদে ধুমোয়,
প্যাথেডিনের রস নিয়ে কেউ
দিন রাত্তির ঘুমোয়।
অনেক…
উচিত বিচার
আহাদ আলী মোল্লা
হাসপাতালে অস্ত্রোপচার
করায় গিয়ে বৃষ্টি,
পুরোপুরি ফিরে পাবে
ঝাঁপসা চোখের দৃষ্টি।
বৃষ্টি নামের মিষ্টি মেয়ে
পুরোই এখন কানা,
চোখ হারিয়ে জীবনটা তার
তুচ্ছ তানাবানা।
কে করেছে এই…
আরজি করি পেশ
আহাদ আলী মোল্লা
হাসপাতালে রোগীর গাদা
ফই তামাশার খেল
কার কী আছে বেল
এসব ভেবেই দিশেহারা
যার আছে আক্কেল।
রোগীর গেল চোখ
বাড়ি বাড়ি শোক
এই নিয়ে তো ফুঁসছে যতো
চুয়াডাঙ্গার লোক।
চক্ষু নিয়ে ছিনিমিনি…
টিপ্পনী- তাকে ধরা যাবে না
আহাদ আলী মোল্লা
নকল সোনার মূর্তি নিয়ে
ব্যবসা করেন চাচা,
কিন্তু হঠাত ধরা খেলেন
খোলা ওনার কাছা।
আসল হোতা গেলেন কোথা
বাইরে ধরা-ছোঁয়ার,
উনি নাকি পালের গোদা
আচ্ছা রকম গোয়ার।
কামান টাকা ঘোরেন…
আমরা হেথায় যা-ই করি
আহাদ আলী মোল্লা
জানো দাদা আমরা এখন কোন মুলুকে বাস করি
গর্বে তোমার ভরবেই বুক সত্যি যদি ফাঁস করি
সরকারি মাল হাতিয়ে নিই; পরের জমি খাস করি
সেই জমিটায় কৌশলে ফের লাঙল দিয়ে চাষ করি।
সবাই জানে…
করুণ ইতিহাস
আহাদ আলী মোল্লা
পাক মুলুকের দোসর ছিলো
রাজাকার আলবদর,
এ বাংলাতে ছিলো তাদের
অনেক বেশি কদর।
পাক বাহিনী করতো সদায়
নলের আগায় শাসন,
ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ মুজিবুর
হঠাত দিলেন ভাষণ।
যার যা আছে কোমর…