বিদেশী টুকরো

আসন্ন ভূমিকম্পে মারা যাবে ৪ কোটি মানুষ !

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আসন্ন ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে চার কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে দাবি করেছেন ড. কেশে নামে এক বিজ্ঞানী। এমনকি ভূমিকম্পের তীব্রতায় একটি মহাদেশও দ্বি-খণ্ডিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। গতকাল শনিবার ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যম এপিবি আনন্দ এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ড. কেশে বলেছেন, সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেয়ার মতো শক্তিসম্পন্ন ওই ভূমিকম্পে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ড. কেশে আরও দাবি করেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর চীনে একাধিক ভূমিকম্প হবে। উল্লেখ্য, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নেই। তাই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না। এ ব্যাপারে ড. কেশের বক্তব্য, নিজস্ব চিন্তাপদ্ধতির (স্কুল অব থটের) ভিত্তিতেই তিনি এ পূর্বাভাস দিয়েছেন। ড. কেশের পূর্বাভাস, রিখটার স্কেলে ২০ থেকে ২৪ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে দক্ষিণ আমেরিকায়। তবে ড. কেশের এ দাবির সাথে একমত হননি অন্য বিজ্ঞানীরা।

 

পোশাক খাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) স্বাক্ষর করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। গতকাল শনিবার দুপুরে বিজিএমইএর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশ টিপিপি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ১২টি দেশের মধ্যে ভিয়েতনাম আমাদের প্রতিযোগী। তারা বিনা শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি করতে পারবে। অতিরিক্ত শুল্ক প্রদানে পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ। কীভাবে এই চুক্তিতে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত হতে পারে, সেই জন্য সরকারকে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের পণ্যের রপ্তানি মূল্য দিন দিন কমে যাচ্ছে। ওটেক্সের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই- ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পোশাকের মূল্য কমেছে ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। একই সময়ে ইউরোপে রপ্তানি করা পোশাকের মূল্য কমেছে ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। তিনি আরো জানান, গ্যাস ও অবকাঠামোর মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকাসহ বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য কমায় পোশাকের দরপতন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি দু বিদেশি হত্যায় বায়াররা অতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে পোশাক খাত। সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের তৈরি পোশাক খাত। তবে দু বিদেশি হত্যায় বায়ারদের সফর বাতিল হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। বিজিএমইএর নতুন এ সভাপতি বলেন, বিশ্ববাজারে টিকে থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করছি। ক্রেতারা মূল্য না বাড়ালেও অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানের সুপারিশ অনুযায়ী কারখানার সংস্কারে কাজ করছি। পোশাক খাতের সংকট উত্তরণে গ্যাসের দাম কমানোসহ সিঙ্গেল ডিজিটে ব্যাংক সুদ নামিয়ে আনা, ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানো এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন মনে করেন নতুন এ সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আনোয়ার উল আলম পারভেজ, বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, সহসভাপতি মইনুদ্দিন আহমেদ, এসএম মান্নান কচি, সহসভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ।

 

টাইফুন কপ্পো ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফিলিপাইনের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে টাইফুন কপ্পো। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে দেশটির লুজন দ্বীপে এটি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটি আবহাওয়াবিদরা। টাইফুনটির প্রভাবে ফিলিপাইনের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা। এর আগে গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো ফিলিপাইনের জনগণের উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে টাইফুন কপ্পোর আঘাত হানতে পারে এমন এলাকার লোকজনকে নিরাপদে থাকার এবং প্রয়োজনে তাদেরকে অন্যত্র সরে আসার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।

আবহাওয়াবিদরা সর্তক করে বলেছেন, কপ্পোর প্রভাবে ফিলিপাইনে ১২ ঘণ্টাব্যাপি মুষলধারে বৃষ্টিপাত এবং বন্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া লুজন দ্বীপের পূর্ব উপকূলে ২ মিটারের (৬ ফুট) বেশি উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানতে পারে। দুর্যোগ মোকাবেলায় কপ্পোর সম্ভাব্য আঘাতস্থলে সেনাবাহিনীকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার টাইফুন কপ্পো ফিলিপাইন উপকূল ত্যাগ করে তাইওয়ানের দিকে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালের নভেম্বরে সুপার টাইফুন হাইয়ানে ফিলিপাইনে ৬ হাজার ৩০০ লোক নিহত হন। এ পর্যন্ত স্থলভাগে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ওই ঝড়ে এখনো এক হাজারের মতো লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

 

জম্মু ও কার্শ্মীর ভারতের অংশ নয়, আদালতের রায়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়। সংবিধানে একে সীমিত সার্বভৌম ভূখণ্ডের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যটির হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন। এক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিচারপতি হাসনাই মাসুদি ও বিচারপতি জনক রাজ কোতোয়ালের দ্বৈতবেঞ্চ এ রায় দেন। ৬০ পৃষ্ঠার এ রায়ে বলা হয়েছে, ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে এ রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে, যা সংশোধন, বাতিল বা রদ করা যাবে না। আদালত আরো বলেছেন, সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদে বিদ্যমান আইনে কাশ্মীরকে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদকে অস্থায়ী বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হলেও একবিংশ ধারায় এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ধারা সংবিধানে  অপরিবর্তনশীল ও বিশেষ বিধান নামে স্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। আইনসভায় এটি সংশোধন, বাতিল অথবা রদ করা যাবে না। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দীর্ঘদিন ধরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের কাছে যত দ্রুত সম্ভব এ রায়ের একটি কপি চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হাইকোর্ট কিসের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন তার ব্যাখ্যাও চেয়েছে। আশা করা হচ্ছে রাজ্যের আইন বিভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এ কপি পাঠাবে। পাকিস্তানের এক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আদালতের এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় দলগুলো এবং রাজনৈতিক নেতারা, যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (পিডিএফ) প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী মুথিদা মাহাজের (এএমএম) নেতা হাকিম মোহাম্মদ ইয়াসিন এটিকে মাইলফলক রায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন,  এখন ৩৭০ অনুচ্ছেদকে আরো জোরদার করাই জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের চ্যালেঞ্জ। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই জম্মু ও কাশ্মীরকে তাদের নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে। ১৯৪৭-৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে এ দু দেশের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ হয়।

 

 

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More