জাতীয় কবির গান-কবিতা স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা হয়ে কাজ করেছে
কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল স্মৃতি সাহিত্য সংসদ অনলাইনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল স্মৃতি সাহিত্য সংসদ অনলাইনের তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কবি মিলনমেলা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ৩টায় কার্পাসডাঙ্গা মিশন পল্লিতে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের হলরুমে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নজরুল স্মৃতি সাহিত্য সংসদের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সকলের উচিত কবিতা পড়া। কবিতা পড়লে সবকিছু জানা যায়। আমরা ছিলাম পরাধীন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। যার গান ও কবিতা যুগে যুগে বাঙালির জীবন সংগ্রাম ও স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণার উৎস হয়ে কাজ করেছে। কবির ৭৭ বছরজুড়ে ছিলো সৃষ্টি ও সৃজনশীলতার এক বিশাল ইতিহাস। তিনি কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটকও রচনা করেছিলেন। বাংলা ভাষায় একটা নতুন প্রাণ নতুন তারুণ্য নিয়ে এসেছিলেন। তার সাহিত্যকর্মে নজরুল শোষণের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। নজরুল ছিলেন দার্শনিক। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তিনি ভেবেছিলেন সে সময়ে। বিদ্রোহী কবিতার জন্য কবি নজরুলের নোবেল পাওয়া উচিত ছিলো।’
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল খালেক, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শিক্ষক শফিকউর রহমান, রোমান ক্যাথলিক গির্জার ফাদার রেভা. লাভলু সরকার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ। বিশেষ আলোচক ছিলেন কবি এসএম হুসাইন বিল্লা। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এমএ গফুর। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন নজরুল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেয়ারিং প্রসেসিং সভাপতি হাসিবুজ্জামান শহিদ বিশ্বাস, উপজেলা কৃষকলীগের রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক মনিরুজ্জামান, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস সিরাজুল ইসলাম, কবি রহমত বিশ্বাস, কবি আব্দুল আলিম, কবি মুর্শিদ আলম, কবি খলিলুর রহমান, কবি আজিজ হোসেন, কবি শফিকুল ইসলাম রেজু, আয়ুব মোল্লা, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার শরীফ সাথী, নিশাত শারমিন সোনিয়াসহ বিভিন্ন জেলার কবিবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কার্পাসডাঙ্গায় সঙ্গীত শিল্পীদের মাঝে বাদ্যযন্ত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
এর আগে সকাল ১০টায় কবির স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে মিশন পল্লিতে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের হলরুমে কবিদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। নজরুল স্মৃতি সাহিত্য সংসদ অনলাইনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি ও সংগঠক মো. লাভলু হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক ও গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হামিদুল ইসলাম। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দেশের খ্যাতনামা ছড়াকার আতিক হেলাল, দৈনিক মাথাভাঙ্গার বার্তা সম্পাদক ছড়াসম্রাট আহাদ আলী মোল্লা, কার্পাসডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ জলিল, চার্চ অব বাংলাদেশ কার্পাসডাঙ্গা শাখার রেভা. মৃত্যুঞ্জয় ম-ল, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও চলচিত্র শিল্পী এবিএম সোহেল রশিদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এমএ গফুর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নজরুল স্মৃতি সাহিত্য সংসদের কবি ও সংগঠক আকলিমা খাতুন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নজরুল স্মৃতি সাহিত্য সংসদ অনলাইনের সাধারণ সম্পাদক কবি ও সংগঠক শিমুল ভুঁইয়া।