আত্মঘাতী হামলাকারী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি নাকচ তালেবানের
মাথাভাঙ্গা মনিটর: তালেবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পর গত বছরের ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের সামনে আত্মঘাতী হামলায় জড়িত ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে তালেবান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিলো আত্মঘাতী হামলায় জড়িত ওই আইএসকে সদস্যকে মুক্তি দিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খামা নিউজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসলামী আমিরাতের মুখপাত্র বিলাল কারিমি ২ জানুয়ারি টুইটার পোস্টে জানান, গত বছরের ২৬ আগস্ট হামলায় জড়িত ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়ার দাবি ‘ভিত্তিহীন’ এবং এই দাবির কোনো প্রমাণ নেই।
বিলাল করিমি বলেন, বাগরাম কারাগার থেকে বন্দীদের মুক্তি এবং আত্মঘাতী হামলার মধ্যে সময়ের ব্যবধান খুবই কম। সেই অল্প সময়ে হামলার পরিকল্পনা করা সম্ভব ছিলো না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তালেবান কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই আইএসকে সদস্যদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওই হামলায় ১৩ মার্কিন নৌবাহিনী সদস্যসহ প্রায় দুইশজন নিহত হন।
ভারতে ফের শত শত মুসলিম নারী বিক্রির জন্য ‘নিলামে’
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের ফের শত শত মুসলিম নারী বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে ‘নিলামে’। বিনা অনুমতিতে ছবি ব্যবহার করে একটি অ্যাপে মুসলিম নারী বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম নারীর বিক্রির এই বিজ্ঞাপন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি, আনন্দবাজার ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইসমত আরা নামে এক সাংবাদিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এদিকে, মুম্বাই পুলিশও এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন শিবসেনার সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী জানিয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, মুম্বাই পুলিশের সাইবার ইউনিট ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপে পাওয়া বিতর্কিত বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এটা ‘শালি ডিলস’ অ্যাপের ক্লোন। ওই ‘শালি ডিলস’ অ্যাপেই গত বছরের জুলাইতে অন্তত ৮৩ জন মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে তাদের ‘বিক্রির আয়োজন’ করা করা হয়েছিলো। ওই অ্যাপে ও ওয়েবসাইটে নারীদের বিশেষায়িত করা হয়েছিলো ‘ডিলস অফ দ্য ডে’ বলে।
যদিও এখানে বেচাকেনার কোনো উদ্দেশই ছিলো না। ওই অ্যাপের উদ্দেশ ছিলো ব্যবহারকারীদের হেয় করা, অপমান করা এবং হয়রানি করা।
স্বীকৃতি নিয়ে মাথা ব্যথা নেই তালেবানের!
মাথাভাঙ্গা মনিটর: দ্বিতীয় দফা ক্ষমতা দখলের সাড়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো স্বীকৃতি মেলেনি তালেবানের। তবে তালেবানের স্বীকৃতি নিয়ে মাথা ব্যথা নেই বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তালেবানের এক মুখপাত্র। তালেবানের স্বীকৃতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলই বেশি চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খামা নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানী জানান, তালেবানের স্বীকৃতির তাদের দরকার নেই বরং আন্তর্জাতিক মহলের দরকার।
ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানী এ সময় হুমকি দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসলামী আমিরাতকে স্বীকৃতি না দিলে তাদের বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
তালেবানের অন্তবর্তী সরকারের স্বীকৃতি বর্তমানে আফগানিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়ছে লাখ লাখ আফগান জনগণের ওপর।
আফগানিস্তানে বিদেশি সাহায্য বন্ধ হয়ে গেছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে, নির্মাণ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং দেশটিতে আর্থিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। আফগান জনগণের ধারণা তালেবানের স্বীকৃতি ইতিবাচত পরিবর্তন আনবে এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিকতার দিকে নিয়ে যাবে।
হামাসের রকেট তৈরির স্থাপনায় ইসরাইলের হামলা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইসরাইলের তেলআবিবের সমুদ্রতীর লক্ষ্য করে দুটি রকেট ছোঁড়ে হামাস। এই রকেট হামলার পর হামাসের বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদের চালানো হামলা হামাসের রকেট তৈরির কারখানা ও সেনাস্থাপনায় আঘাত হানে।
শনিবার হামাসের হামলায় ইসরাইলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দেশটিতে কোনো ধরনের সতর্কবার্তামূলক সাইরেনের শব্দও শোনা যায়নি। এমনকি রকেট হামলা থেকে বাঁচতে তাদের যে আইরন ডোমগুলো আছে সেগুলোও সক্রিয় করা হয়নি।
এক টুইট বার্তায় ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানায়, নতুন বছরে যখন বিশ্বব্যাপী আঁতশবাজির আলোতে আকাশ আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে। তখন গাজার দিক থেকে ইসরাইলে আসে অন্যরকম আলো। এর জবাবে আমরা হামাসের স্থাপনায় হামলা চালিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে রকেট তৈরির কারখানা ও সামরিক স্থাপনা। যদিও হামাসের ওই রকেটগুলো ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ছুঁড়েছিলো কি-না এটি নিশ্চিত নয়। কারণ তারা প্রায়ই সমুদ্রে রকেট ছুঁড়ে পরীক্ষা করে।
হাজেম কাসেম নামে হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরাইল সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কৃষিজমিতেও হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইলের এসব হামলায় তারা ভীত না। যতক্ষণ স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য অর্জন না হচ্ছে, ততক্ষণ তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।