মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন কবি লুইজ গ্লুক। সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে তার অসামান্য কাব্যভাষ্য ও দার্শনিক সৌন্দর্য বোধ ব্যক্তি সত্তাকে সার্বজনীন করে তোলে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সাহিত্যে নোবেল প্রাপকের নাম ঘোষণা করার সময় অ্যাকাডেমির নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্ডার্স অলসন জানিয়েছেন, ‘গ্লুকের ভাষ্য মধুর এবং আপসহীন। তার কবিতা পড়লেই বোঝা যায় যে, তিনি নিজেকে প্রাঞ্জল করতে সচেষ্ট। একই সঙ্গে তার লেখায় পাওয়া যায় হাস্যরস ও তীক্ষ্ণ কৌতুকের সংমিশ্রণ।’
নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্লুকের ‘সহজবোধ্য কবিকণ্ঠ যেটি নিরাভরণ সৌন্দর্যের সঙ্গে ব্যক্তির অস্তিত্বকে সর্বজনীন করে তোলে।’ এজন্য তাকে চলতি বছর নোবেল সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ১৯৬৮ সালে ‘ফার্স্টবর্ন’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন লুইজ গ্লুক। এরপর তিনি দ্রুত আমেরিকার সমকালীন সাহিত্যজগতে শীর্ষস্থানীয় কবিদের মধ্যে স্থান করে নেন। ১৯৪৩ সালে নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া গ্লুক বাস করছেন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজে। লেখালেখির পাশাপাশি ইয়ালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ২০১৪ সালে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন গ্লুক। গ্লুকের এ পর্যন্ত ১২টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যেকটি কাব্যগ্রন্থেই নির্মলতার জন্য সংগ্রামের চিত্র উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ১০০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ১৫ জন নারী সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। তবে গ্লুককে নিয়ে এই সংখ্যা হলো ১৬। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে জাতীয় মানবাধিকার পুরস্কারে ভূষিত করে।