আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় সকল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে গঠিত আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটি। গতকাল সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ গণত্রাণ কমিটির সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দেশের বেশ কয়েকটি জেলার প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ পানিতে দুর্বিসহ অবস্থায় বসবাস করছেন। বানভাসি এসব মানুষের জীবন বাঁচাতে গঠিত হয়েছে আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটি। ইতোমধ্যে ১৪ জন তরুণের একটি প্রশিক্ষিত রেসকিউ টিম বন্যাপীড়িত লক্ষ্মীপুরের দুর্গম এলাকায় কাজ করছে। বন্যাপীড়িতদের প্রতিদিনের আহার, পোষাক, ওষুধ ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনকে সামনে রেখে আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটির ব্যানারে পুরো আলমডাঙ্গাবাসী একযোগে কাজ করছেন। প্রতিদিন বৈঠকে বসছেন সমন্বয়করা। বিশাল এই কর্মযজ্ঞে ১৩ জন সমন্বয়ক ও ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক আলমডাঙ্গাবাসীকে একত্রিত করে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা বৃহত্তর কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি গোলাম রহমান সিঞ্জুল, আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শাফায়েত-উল- ইসলাম হিরো, আলমডাঙ্গা সিদ্দিকীয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক শফি উদ্দিন, ঈমাম সমিতির সভাপতি তসলিম উদ্দিন, বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং মুদি ও মনোহারী ব্যবসায়ী সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মহিউদ্দিন, মৎস্য সমিতির সভাপতি এমদাদুল হক হিমেল, ট্রাক ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সম্পাদক সাহাবুল, পরিবেশক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান, সম্পাদক শেখ আমানউল্লাহ, বীজ ভান্ডার সমিতির তরিকুল ইসলাম সুমন, হোটেল মালিক সমিতির হাফিজুর রহমান, মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির জুয়েল।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ বন্যা দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে দীর্ঘমেয়াদে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা স্ব স্ব সমিতি থেকে এমনকি ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটির সমন্বয়ক হাবিবুল করিম চঞ্চলের পরিচালনায় সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরিফুল ইসলাম পিন্টু, ফজলুল হক শামীম, রহমান মুকুল, ফিরোজ ইফতেখার, এমদাদ হোসেন, বুলবুল আহমেদ।
উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা গণত্রাণ সমিতির ১৪ সদস্যের যে রেসকিউ টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় কাজ করছে, ইতোমধ্যে এ টিমটি শ্রেষ্ঠ টিম হিসেবে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আস্থা অর্জন করেছেন। বন্যাদুর্গত এলাকায় মানবিক সহযোগিতার এক অনন্য নজির স্থাপন করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আলমডাঙ্গা গণত্রাণ কমিটি ও উপস্থিত বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠণের নেতৃবৃন্দ।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.