রোববার (২১ জুন) বছরের তথা ২০২০ সালের দীর্ঘতম দিন। কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সূর্য এদিন পৃথিবীর কাছে চলে আসে। ফলে এদিন বছরের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে আলো দেয় সূর্য। দিনটিকে কর্কটক্রান্তি দিবস হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। এমন দিনে আজ আরও দুটি ঘটনা যুক্ত হচ্ছে। একটি অমাবস্যা; অপরটি সূর্যগ্রহণ ।
চুয়াডাঙ্গার আকাশে আংশিক সূর্য্গ্রহণ দেখা যাওয়ার কথা থাকলেও মেঘ বৃষ্টির কারণে তা দেখা সম্ভব হয়নি। অনেকেই ওয়েল্ডিং করার কাজে ব্যবহৃত শ্যাডো নম্বর ১২ ও ১৪ গ্লাস আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখেন। বাড়ির ছাদেও ওঠেন। ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। তার আগে থেকেই ছিলে মেঘের ঘণঘটা। তবে উত্তর ভারত, পাকিস্তানের দক্ষিণ ভাগ, চীন, তাইওয়ান, মধ্য আফ্রিকা থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে। বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর।
আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি) বলছে, আকাশ মেঘমুক্ত থাকাসাপেক্ষে সারা দেশ থেকে আজ আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকার স্থানীয় সময় দুপুর ১১টা ২৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। দুপুর ১টা ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় ও দুপুর ২টা ৫২ মিনিট ৩ সেকেন্ডে গ্রহণ শেষ হওয়ার কথা। এই একই সময়ে ময়মনসিংহ ও বরিশাল থেকেও দেখা যায় সূর্যগ্রহণ। এর ৬ মিনিট আগে রাজশাহী ও রংপুর, ৩ মিনিট আগে খুলনা এবং ৫ ও ৬ মিনিট পর যথাক্রমে সিলেট ও চট্টগ্রামে শুরু হয় সূর্যগ্রহণ। একই সময়ের বিরতিতে ওইসব অঞ্চলে শেষ হয় সূর্যগ্রহণ। মূল বা বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায় আফ্রিকার কঙ্গো শহরের ইম্পফোন্ডো ও রোমা শহর, ভারতের যোশীমঠ শহর এবং ফিলিপাইনের সামার ও মিন্দানাও দ্বীপ থেকে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ঘুরছে। একই সঙ্গে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সূর্য ও পৃথিবীকে নিয়ে একটি তল কল্পনা করলে চাঁদ সাধারণত সেই তলে থাকে না। কিন্তু কোনো কোনো অমাবস্যায় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চাঁদ সেই তলে একই সরলরেখায় চলে আসে। সূর্য চাঁদের আড়ালে চলে যায়। চাঁদের সংকীর্ণ ছায়া তখন পৃথিবীর বুকে ভ্রমণ করে। সেই ছায়া যেসব জায়গার ওপর দিয়ে যায় সেখান থেকে মনে হয় সূর্য ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। ছায়ার কেন্দ্রে যেসব অঞ্চল পড়ে সেখান থেকে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। কেন্দ্রের বাইরে আংশিক গ্রহণ দেখা যায়। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর কাছে থাকায় চাঁদেও কৌণিক ব্যাস সূর্যের কৌণিক ব্যাস হতে কম থাকে। ফলে পূর্ণগ্রহণ হলেও চাঁদ সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না। সূর্য বলয় আকারে চাঁদের ছায়ার চারদিকে দেখা দেয়।