মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। ইউক্রেনের পর রাশিয়ার পরবর্তী টার্গেট নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। তবে এবার রাশিয়া নিজেরাই জানাল তাদের পরবর্তী টার্গেট সম্পর্কে। বার্তা সংস্থা এএফপি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। অবশ্য রাশিয়ার পরবর্তী টার্গেট কোনো দেশ নয়, ইউক্রেনে থাকা পশ্চিমা অস্ত্রের মজুদ।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর কোনো দেশ কিয়েভের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে যোগ না দিলেও অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে। এবার সেই অস্ত্রই ধ্বংসের হুমকি দিল রাশিয়া। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছি বিভিন্ন দেশে অস্ত্র সমন্বয় করা শুধুমাত্র একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ নয়, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা এই অস্ত্রের বহরগুলোকে বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।
তিনি বলেন, মস্কো ‘মানুষ বহনযোগ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল সিস্টেমের মতো অস্ত্র ইউক্রেনের কাছে চিন্তাভাবনা না করেই হস্তান্তরের পরিণতি সম্পর্কে’ সতর্ক করেছে। রিয়াবকভ জানান, ওয়াশিংটন মস্কোর সতর্কবার্তা মোটেও গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন নিয়ে কোনো ‘সমঝোতা প্রক্রিয়াতে’ অংশ নেননি বলেও জানান তিনি।
রাশিয়ার সীমান্তে ১২ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হয়েছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন। বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন যে ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করেছেন তাতে তিনি বিজয়ী হবেন না। শুক্রবার হাউস ডেমোক্র্যাটিক ককাসের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করব।
বাইডেন জানান, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ লাটভিয়া,এস্টোনিয়া, লিথুনিয়া ও রোমানিয়ায় ওই মার্কিন সেনাদের পাঠানো হয়েছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন না বলেও জানান বাইডেন। এ সময় বাইডেন বলেন, ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ হলে সেটি হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যা প্রতিরোধে সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তবে তাদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।