জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের সামিয়া খাতুন কেয়া (১২) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার মারা গেছে। করোনা সন্দেহে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়ি করা হয়েছে লকডাউন। অপরদিকে জীবননগর হাসপাতালের ব্রাদার সিমন ঘরামী বর্তমানে প্রেষণে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে কর্মরত। তিনি করোন ভাইরাসে আক্রান্ত। গতকাল আসা পরীক্ষার রিপোর্টে তার নাম পজেটিভ আসে। তবে তিনি বর্তমানে জীবননগরে কর্মরত না থাকায় এ উপজেলা এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত বলে হাসপাতাল হতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
জীবননগর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মিনাজপুর গ্রামে সাইদুর রহমানের মেয়ে সামিয়া খাতুন কেয়া গত ৪ দিন পূর্বে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। চিকিৎসা সেবা নেয়ার পর সে সুস্থ হয়ে ওঠে। বুধবার তাকে হাসপাতাল হতে রিলিজ দেয়া হয়। শুক্রবার হঠাৎ আবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বাড়িতেই তার মৃত্যু ঘটে। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জীবননগর হাসাপাতালের চিকিৎসক ডা. আফিন্দা রাজ্জাকের নেতৃত্বে এসআই সাইদুর রহমান ও ল্যাব টেকনিশিয়ান আব্দুল হাকিম মৃতের শরীর হতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠায়। অন্যদিকে গতকাল চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস হতে জীবননগরের একজন করোনায় আক্রান্ত বলে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু জানান, করোনায় আক্রান্ত ব্রাদার সিমন ঘরামী জীবননগর হাসাপাতালে কর্মরত ছিলেন। করোনাকালীন সার্ভিস দেয়ার জন্য প্রেষণে তাকে চুয়াডাঙ্গা হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা সেবা প্রদানকালে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জীবননগরে কর্মরত না থাকায় এখন পর্যন্ত জীবননগর উপজেলা করোনামুক্ত বলে জানান এ চিকিৎসক।