চুয়াডাঙ্গায় নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগে দুদকের অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কৃষকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে। দুদক কমিশন ঢাকার নির্দেশে ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সারাদিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। দিনব্যাপী চলা এ অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে বিভিন্ন অনিয়ম ও সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন এবং সারের সংকট তৈরিতে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। সারাদিনব্যাপী সার ডিলারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুদকের টিম তদারকি চালিয়েছে এবং ন্যায্যমূল্যে সার বিক্রির জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এ সময় দুদক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বেশি দামে সার বিক্রির প্রমাণ পায় যেসকল প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কৃষি বিভাগকে অবগত করে দুদক। দুদকের এই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গায় কৃষি বিভাগ কর্তৃক বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়। এছাড়া, দুদক চুয়াডাঙ্গার বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) গোডাউনও পরিদর্শন করেছে।
পরিদর্শনকালে বিএডিসির সার গোডাউনের পরিচালক শঙ্কর কুমার জানিয়েছেন, সারের কোনো সংকট নেই। তবে, কিছু অসাধু ব্যক্তি কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ, সহকারী পরিদর্শক কাউসার আহমেদ এবং কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান, সাংবাদিক মো. আব্দুল্লাহ হক প্রমুখ। সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
পাঁচমাইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা বদরগঞ্জ বাজারে সার ও কীটনাশক দোকানে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে দুদক। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরে বদরগঞ্জ বাজারে মের্সাস সাকিব ট্রেডার্সের ইউরিয়া সারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। সরকারি নির্ধারিত দরের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রির সত্যতা মেলে। দুদকের অনুসন্ধানে বিশেষ এ অভিযানটি পরিচালনা হয়েছে। এ সময় বদরগঞ্জের মেসার্স সাকিব ট্রেডার্সের মালিক তাহাজ আলীকে দুদকের অনুসন্ধানে রিপোর্টের কাগজপত্রসহ অনুসন্ধানে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এতে করে তাহাজ আলী দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের সার ও কীটনাশক বিক্রি করে আসছেন। তবে নেই কোন লাইসেন্সের কাগজপত্র। এরই প্রেক্ষিতে দুদকের ঢাকা কার্যালয়ের অনুসন্ধানের রিপোর্টের টিম ও ঝিনাইদহ আঞ্চলিক দুদকের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.