কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া খোকসার গোপগ্রাম এলাকায় স্ত্রী মীম খাতুনের (২৩) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাকে শ^াসরোধে হত্যার পর গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ উত্থাপনের সাথে সাথে পুলিশ তার স্বামী সুমন হোসেনকে (৩০)কে আটক করেছে। গত শনিবার রাতে মীম খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পরদিন গতকাল রোববার তার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জেল হাজাতে প্রেরণের আদেশ দেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে পরিবারের অমতে সম্পর্ক করে মিম খাতুন কে বিয়ে করে সুমন। নিসন্তান এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। শনিবার (০৯ মে) রাতে সুমনের মায়ের সাথে পুত্রবধু মীমের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ার জের ধরে সুমন স্ত্রী মীমকে বেদম মারধর করে বলে নিকটস্থ প্রতিবেশীদের ভাষ্য। স্থানীয়দের কাছে এমন অভিযোগ পেয়েই স্ত্রী হত্যায় জড়িত সন্দেহে সুমনকে আটক করে পুলিশ। নিহত মীমের পিতা নজরুল খানের দাবী, আমার মেয়েকে যৌতুক দাবিতে জামাই সুমন হোসেন ও তার মা প্রায়ই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন চালাত। ওরাই পরিকল্পিত ভাবে মীমকে হত্যা করেছে; আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল আলম জানান, শনিবার সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল উপজেলার গোপগ্রাম এলাকার আলতাফ হেসেনের ছেলে সুমনের বাড়ি থেকে স্ত্রী মীমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।
এঘটনায় নিহত মীমের ভাই শাকিল খান ওরফে পলাশ বাদি হয়ে করা হত্যা মামলার আসামী হিসেবে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী সুমনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার সুমনকে গ্রেফতার করে আদালতে সৌপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ