কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া পৌর এলাকার জুগিয়া ভাটাপাড়া থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গড়াই নদের বালুরঘাট থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত আকাশ আলী (১৫) জুগিয়া ভাটাপাড়া এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি ছাব্বিরুল আলম বলেন, রাত ১১টার দিকে খবর পান জুগিয়া ভাটাপাড়া এলাকায় গড়াই নদের ভেতর বালুঘাটে একটি লাশ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও বালুশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন ড্রামট্রাকে বালুবোঝাই করার পর যাওয়ার সময় ড্রামট্রাকের ধাক্কা লেগে আকাশ মারা যায়। লাশ রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের মর্গের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর সেলিম লাশের সুরতহাল করছেন। তিনি বলেন, লাশের ডান হাতের ওপর, বুক ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন আছে। এটা দুর্ঘটনা কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
মর্গের সামনে আকাশের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। তারা বলছেন, আকাশের বাবা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহিদুল ইসলামের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ইটভাটার ব্যবসা করেন। আকাশ রাত ১০টার দিকে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর জানতে পারে ড্রামট্রাকের ধাক্কায় মারা গেছে সে। মর্গে লাশের সুরতহাল ও ময়নাতন্তের বিষয়ে তদারকি করছিলেন কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আকাশ প্রায়ই বালুরঘাটে আসতো। রাতে ড্রামট্রাকের ধাক্কায় সে মারা যায়। এটা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু, অন্য কিছু নয়।
নিহত ব্যক্তির ভাই শান্ত হোসেন ভাইয়ের লাশ মর্গে দেখে হতবিহŸল হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান ভাইয়ের নিথর দেহ বালুর ওপর পড়ে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক বলেন, আকাশ আগেই মারা গেছে। মৃত্যুর কারণ অন্য কিছু হতে পারে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে শান্ত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাকে কয়েকজন ব্যক্তি সাংবাদিকদের কাছ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেন।
ওসি সাব্বিরুল আলম বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে কী ঘটেছিলো। এছাড়া ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। পরিবার থেকে মামলা দিলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।