মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: পটুয়াখালীর দশমিনায় মো. গাজী হাসান নামে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অপর ছাত্রদল কর্মীর (বন্ধু) স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রথম স্বামী সাবেক ছাত্রদলকর্মী মো. মাসুদ রানা তার স্ত্রীকে নিয়ে শুক্র, শনি ও রোববার ফেসবুকে পৃথক কয়েকটি পোস্ট দেওয়ায় উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। মো. গাজী হাসান উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক কর্মী মো. মাসুদ রানার অভিযোগ- ২০১০ সালের মার্চের দিকে উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাইবোন।
মো. মাসুদ রানা অভিযোগ করে জানান, রনগোপালদী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বন্ধু মো. গাজী হাসান তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ায়। ২০১৫ সালের দিকে তাকে তালাক না দিয়েই হাসানকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে সাড়ে ৪ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
মাসুদ জানান, এ ঘটনার পর তিনি লোকসমাজের ভয়ে চুপ হয়ে যান। পরে ২০১৮ সালে ফের যোগাযোগ শুরু করেন তার সাবেক স্ত্রী। ২০২১ সালের দিকে হাসানকে তালাক দিয়ে ফের তাকে বিয়ে করেন। কয়েক মাস সংসার করার পর তার স্ত্রীকে আবার ভাগিয়ে নিয়ে যান। তার স্ত্রীর পেটে থাকা সন্তানকে গর্ভপাত ঘটিয়েছে বলে মাসুদ দাবি করেন। এ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মো. গাজী হাসান বলেন, আমাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। আমাদের তালাক হয়ে গেছে। গর্ভপাতের বিষয়ে আমি যুক্ত নই।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।