মাথাভাঙ্গা মনিটর: প্রতিবেশী ইউক্রেনে মস্কোর সর্বাত্মক হামলা তৃতীয় সপ্তাহে পৌঁছানোর সাথে সাথে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রথমবারের মতো তুরস্কে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনে মানবিক সংকটের সমাধানে কাজ করতে রাজি হয়েছে কিয়েভ-মস্কো। তবে যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে বৈঠকের আলোচনায় তেমন কোনও অগ্রগতি আসেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় আনতালিয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন। এ সময় কুলেবা বলেছেন, ইউক্রেনের মানবিক সংকটের সমাধানে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ।
তিনি বলেছেন, যদি ফলপ্রসূ আলোচনা এবং সমাধান খোঁজার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তিনি আবারও একই ধরনের বৈঠকে বসার জন্য প্রস্তুতি নেবেন।
কুলেবা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন দেখা করেন, তখন শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনার এখতিয়ার তাদের রয়েছে।
ইউক্রেনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান, ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের দুর্ভোগের সমাপ্তি এবং রাশিয়ার দখলদার বাহিনীর হাত থেকে আমাদের অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই ধরনের আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
কুলেবা বলেন, এই মুহূর্তে দু’টি কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে। মারিউপোলে মানবিক করিডোর স্থাপন এবং ২৪ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ক্রেমলিনে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
ইউক্রেনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া সম্ভব নয়, যদি রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করার উদ্দেশ্য না থাকে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। রুশ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যুদ্ধের অগ্রগতি কী– এই প্রশ্নের জবাবে লাভরভ বলেন, এটি ‘বিশেষ অভিযান’; যা পরিকল্পনা মাফিক চলছে।
পশ্চিমারা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে ‘বিপজ্জনক আচরণ’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন লাভরভ। তিনি বলেছেন, এটি তাদের তথাকথিত নীতি ও মূল্যবোধের বিরোধী।
রাশিয়ার অন্য কোন দেশে আক্রমণ করার পরিকল্পনা রয়েছে কি না– এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করেনি এবং অন্য দেশে আক্রমণের পরিকল্পনা নেই।