স্টাফ রিপোর্টার: ৪ দিনের ব্যবধানে আলমডাঙ্গা থানায় আবারও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারসূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে একই গ্রামের মোয়ালেন হোসেনের ছেলে মোটরসাইকেল মেকানিক সাজুর (২৩) ৩ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাজু প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তার বন্ধু একই গ্রামের ধর্মতলাপাড়ার মোমিনের ঘরে তোলে। পরে ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বোন বাদি হয়ে ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
এদিকে, এলাকাসূত্রে জানা গেছে, ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এ মেয়েটির সাথে সাজুর অনেক দিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক। এরই মাঝে সাজু অন্যত্র বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি জেনে মেয়েটি ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সাজু বউ বাড়িতে তুলতে গেলে বাধে বিপত্তি। মেয়েটির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হলো।
প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে আলমডাঙ্গার নওদা ব-বিলে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার নওদা বন্ডবিল গ্রামের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে প্রতিবেশী মিজানুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান টিক্কার (২৫) কয়েক মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি কামরুজ্জামান টিক্কা প্রেমিকার পিতার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। প্রেমিকার পিতা এ বিয়ের প্রস্তাবে অসম্মতি প্রকাশ করেন। এরই এক পর্যায়ে গত ১২ অক্টোবর রাত ১টার দিকে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান কামরুজ্জামান টিক্কা জোরপূর্বক তুলে ঘরে নিয়ে মেয়েটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ ধর্ষণের মামলা নিয়েও এলাকায় নানা সমালোচনা রয়েছে।