আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ভোদুয়া গ্রামের গোলজার আলীর বিরুদ্ধে জামজামি বাজারের মূল্যবান বেশ কয়েকটি সরকারি জমি জবর দখল করে ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। জামজামি বাজারের সরকারি ভবন (প্রাক্তন ব্যাংক ভবন) দখল ছাড়াও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইকোপার্কের জন্য নির্ধারিত জমিও তিনি দখল করে ধান রোপণ করেছেন তিনি। এলাকার সচেতন মানুষ তার কাছে অবৈধভাবে থাকা সরকারি ভবন ও জমি দখলমুক্তের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ভোদুয়া গ্রামের খোয়াজ আলী মেম্বারের ছেলে গোলজার আলী দীর্ঘদিন ধরে জামজামী বাজারের সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ভবন (প্রাক্তন ব্যাংক ভবন) জবরদখল করেন। যার দাগ নং ৫২৯৩। একই ভাবে ওই ভবনের সামনে ১৮৮৭ দাগে আরও একখন্ড মূল্যবান ফাঁকা জামিও তিনি দখলে নিয়েছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন কর্তৃক জামজামি বাজার সংলগ্ন সরকারি বেশ কয়েক একর জমি দখলমুক্ত করে ইকোপার্কের জন্য নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে আইনী জটিলতার কারণে ইকোপার্ক নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুযোগে গোলজার আলী জামজামি তহশিলদারের সহযোগিতায় সাড়ে তিন বিঘা জমি দখল করে নেন। সেই জমিতে বর্তমানে ধান রোপণ করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ইকোপার্কের জমিতে গোলজারের কোনো সত্ব না থাকার পরও তিনি সরকারি জমি দখল করেছেন। গোলজার আলী প্রভাবশালী হওয়ায় ও জামজামি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার আমজাদ আলী তার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি করতে পারেন না বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এলাকার সচেতন মহল গোলজারের দখলে থাকা সরকারি জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ সম্পর্কে জামজামি তহশিলদার আমজাদ হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরস্পর বিরোধী কথাবার্তা বলেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত গোলজার আমার আত্মীয় না। আমাদের গ্রামের এক ব্যক্তির আত্মীয়। গোলজার সরকারি ব্যাংক ভবন, সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা করছেন আমি এই অফিসে যোগদানের পূর্বে। আসলে জমির সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। আপনার অফিসের ১৫/২৯ গজ দূরে সরকারি সম্পত্তি দখল করে বছরের পর বছর ব্যবসা করলেও কেনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আপনার অনীহা? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি পালটা প্রশ্ন করে বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ না দিলে আমি কেনো ব্যবস্থা নেবো? আসলে এগুলি রাজনৈতিক বিষয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ