–
স্টাফ রিপোর্টার: সোনা চোরাচালান মামলায় ঝিনাইদহে দুই আসামির প্রত্যেককে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এই রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দৌলতগঞ্জ দেয়াড়াপাড়ার শ্রী ষষ্টি কর্মকারের ছেলে সুনীল কর্মকার ও একই উপজেলার বাজারপাড়ার মৃত ফয়জুল্লাহ মোল্লার ছেলে ওবাইদুল্লাহ। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৪ মার্চ ২০১৫ সালে ঢাকা হতে দর্শনাগামী জে আর পরিবহনের স্পেশাল সুপার সেলুন করে আসামিরা যাতায়াতের সময় কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ বাসটি তল্লাশি করে। এ সময় আসামিদের থেকে একটি সোনার বার, ৮টি সোনার পাত, একটি সোনার লকেট, ৩ টি সোনার চেইন, এক জোড়া কানের দুল ও একটি সোনার আংটি উদ্ধার করে। যার ওজন এক কেজি দেড়শ গ্রাম। সোনার চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এস আই আশিকুর রহমান বাদী হয়ে দুজনের নামে মামলা দায়ের করেন। রায়ের পর মামলায় জব্দকৃত স্বর্ণ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দুজনের নামে মামলা করে। তদন্ত শেষে কোটচাঁদপুর থানার তৎকালীন ওসি শহিদুল ইসলাম ও এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম ২০১৫ সালের ১১ জুলাই আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ৭ বছর মামলা চলার পর আদালত মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন ও আসামিপক্ষে মো. বদিউজ্জামান মামলাটি পরিচালনা করেন।